
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭ | প্রিন্ট
কুয়েতে এসি বিস্ফোরণে নিহত ৫ বাংলাদেশীর মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে পৌঁছাবে। স্ত্রী ও ৪ সন্তানসহ ৫ জনের লাশ নিয়ে কুয়েত থেকে আসছেন জুনেদ আহমদ। বৃহস্পতিবার কুয়েতের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা রয়েছে বলে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা জানিয়েছেন। এছাড়া বিস্ফোরণে নিহত ৫ জনের লাশ বহনের সম্পূর্ণ খরচ দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার বহন করবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুনেদের স্বজনরা। এদিকে ১৮ই অক্টোবর বুধবার কুয়েতের স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় মোবারক আল কবির হাসপাতালে নিহতদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। জুনেদের মামা খিজির আহমদ, নিহত রোকেয়া বেগমের বড় ভাই মো. জাকারিয়া ও বড় বোনের জামাই নাজিম উদ্দিন জানান, ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর নামাজে জানাজার সময় নির্ধারণ করা হবে এবং ওই দিনই কমলগঞ্জের কান্দিগাঁও গ্রামে জানাযার নামাজের পর তাদেরকে কবরস্থ করা হবে। জুনেদ কুয়েত সেনা বাহিনীর (সিভিল) অধীনে চাকরি করতেন। গত ১৬ই অক্টোবর সোমবার এসি বিস্ফোরণে পর গ্যাস সিলিন্ডার ও সোফায় লাগা আগুনোর ধোঁয়ায় সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসার সময় জুনেদ আহমদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৪) মেয়ে জামিলা জান্নাত (১৫) নাবিলা জান্নাত (১০) ছেলে ইমাদ আহমদ (১২) ও ফাহাদ আহমদ (৬) শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। কুয়েত সিটির সালমিয়াত এলাকার ৫তলার একটি ভবনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রোকেয়ার স্বামী জুনেদ আহমদ দুর্ঘটনার সময় বাসায় না থাকায় বেঁচে যান। জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ই ডিসেম্বর জুনাইদ স্ত্রী ও ৪ সন্তানকে নিয়ে দেশে এসেছিলে। প্রায় ২ মাস তারা গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কান্দিগাঁও ও শ্বশুরালয় মৌলভীবাজারের গুজারাই গ্রামে অবস্থান শেষে কুয়েত ফিরে যান। চলতি বছরের ডিসেম্বের ৩ মাসের ছুটিতে সপরিবারে দেশের আসার কথা ছিল। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় পরিবারের ৬ সদস্য আবারও দেশে আসছেন তবে ৫ জন লাশ হয়ে। এদিকে ৫ সদস্যের লাশ গ্রহণের অপেক্ষায় স্বজনরা।
Posted ১:৩০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.