
স্পোর্টস প্রতিনিধ,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
ফুটবলার, হকি কিংবা বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের হাঁটুর এন্টেরিয়র ক্রসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা! কিন্তু ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এ ধরণের ইনজুরি খুবই কমই হয়। মাশরাফি বিন মুর্তজার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন চোট আক্রান্ত হলেন নাসির হোসেন।
অবশ্য ফুটবল খেলতে গিয়েই লিগারমেন্ট ছিঁড়েছে নাসিরের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে হাঁটুর এন্টেরিয়র ক্রসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় মাশরাফির। যদিও বিসিবির দাবি ফিটনেস ট্রেনিং করতে গিয়ে চোট পান নাসির। কিন্তু আসল ঘটনা, সিরাজগঞ্জে বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে ফুটবল খেলার সময় ডান হাঁটুতে চোট পান এ ক্রিকেটার।
নাসির কীভাবে চোট পেয়েছেন জানতে চাইলে বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে বিসিবিতে বলেন,“ঘরোয়া ক্রিকেটে এ ধরনের ইনজুরিতে পড়া প্রায় ১০-১২জন ক্রিকেটার অস্ত্রোপচারের পর আবারও খেলায় ফিরতে পেরেছেন। নাসিরের জন্য এখন তারাই অনুপ্রেরণা। সঙ্গে বড় অনুপ্রেরণা তো মাশরাফিই। হাঁটুতে সাত অস্ত্রোপচার নিয়েও দুর্দান্ত খেলে চলেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক।”
এছাড়া তিনি বলেন,“হকি, বাস্কেটবল, ফুটবলে জাতীয় দলের অনেকেই এসিএল ইজুরিতে পড়েছে, তারা আবার খেলায় ফিরেছে। ভালো অপারেশন হলে আবার ফিরে আসতে পারে। ক্রিকেটারদের মধ্যে এমন ইনজুরি কম। মাশরাফির পর জাতীয় দলে এসিএল ইনজুরি নেই। ‘এ’ টিমে, ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে অনেকেই পড়েছে। মাশরাফির পর নাসির। এর মাঝের সময়ে ঘরোয়াতে ১০-১২ জনের মতো অপারেশন হয়েছে, সবাই খেলায় ফিরে এসেছে।”
খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাসিরের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করা হবে বলেও জানালেন দেবাশীষ। অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়ার পরে অন্তত ৬ মাস নাসিরকে থাকতে হবে মাঠের বাইরে।
Posted ৬:৪৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.