গণফেরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হকের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। শিগগির নাম চূড়ান্ত হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির যাত্রা শুরু হবে ১২ অক্টোবরের মধ্যে। ইতোমধ্যেই নুরুল হকের অনুসারী ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন ড. রেজা কিবরিয়া। তারা সবাই মিলে দলের ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ করেছেন। এখন দলের পদ-পদবি নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিসহ আহ্বায়ক কমিটিতে হবে শতাধিক সদস্যকে নিয়ে।
নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ দলটি ডান বা বামপন্থী হবে না। এটি হবে মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল। এ দলটি বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি থেকে কিছুটা ভিন্ন আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। তবে এ দলটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোল করবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে নির্বাচনে কোন জোটের সঙ্গে যাবে কি না তা এখনও চ‚ড়ান্ত হয়নি।
১২ অক্টোবরের মধ্যে নতুন এই রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এর পর আহ্বায়ক কমিটির শীর্ষ নেতারা প্রথমেই সিলেটে হযরত শাহজালাল (রা.) ও শাহপরাণ (রা.) মাজার জিয়ারত করে দলীয় কর্মকাণ্ড শুরু করবেন। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা ভাসানী, জিয়াউর রহমান ও জেনারেল ওসমানীর মাজার জিয়ারত করবেন তারা। পরে সারাদেশের জেলায় জেলায় সফরে গিয়ে জেলা কমিটি ও অন্যান্য ইউনিট কমিটি গঠন করবে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে কাউন্সিল করে জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করবে।
নতুন দল গঠন সম্পর্কে ড. রেজা কিবরিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্বাধীনতার পর ৫০ বছর দেশ যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে পারে না। তাই আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি দেশের মানুষ পছন্দ করছে না। এ পরিস্থিতিতে আমরা মধ্যপন্থী একটি ব্যতিক্রম রাজনৈতিক দল গঠন করছি। কারণ দেশের মানুষ ডান বা বাম অর্থাৎ এক্সট্রিম কিছু পছন্দ করেন না। তারা সব সময় মধ্যপন্থাকে গ্রহণ করেন। আমার বাবাকে দেখেছি কিভাবে মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। ওনি কখনও মানুষকে একটা কটু কথাও বলেননি। অথচ তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এসব মাথায় রেখেই রাজনীতিতে এসেছি। আমাদের দলীয় কর্মসূচী হবে একেবারে স্বচ্ছ। আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দু’একদিনের মধ্যে দলের নাম চ‚ড়ান্ত হবে। আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবো। তাই ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিভিন্ন পেশাজীবী অর্থাৎ অভিজ্ঞ রাজনীতিক, অধ্যাপক, ব্যারিস্টার, অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন সেক্টরে যারা এক্সপার্ট তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। অনেকেই আমাদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করছেন।
সূত্র : জনকণ্ঠ
Comments
comments