সিলেট জেলা প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সংবিধান ও দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কর্তব্যপরায়ণ, শৃঙ্খলা বজায় রেখে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ দেশের সম্পদ। মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক। তাই পেশাগতভাবে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দক্ষ, সৎ ও মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার দুপুরে সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তরে ১১ পদাতিক ব্রিগেডসহ ৮টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য যতো জনবল প্রয়োজন, যুদ্ধ সরঞ্জাম যা যা প্রয়োজন, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সেসব সরঞ্জাম আমরা দিচ্ছি। বরিশালে সেনানিবাসে একটি পদাতিক ডিভিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কক্সবাজারে রামুতে আরেকটি পদাতিক ডিভিশন গড়ে তোলা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে এভাবে পদাতিক ডিভিশন গড়ে তুলে আমাদের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থৈনেতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ১১ পদাতিক ব্রিগেডসহ ৮টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলিত হলো। আজ সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন, পরিপূর্ণতা অর্জনের দিন। আমি বিশ্বাস করি, সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এ ডিভিশনকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলবেন এবং একইসাথে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মনিয়োগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু দেশের অভ্যন্তরে না, বাংলাদেশের বাইরেও শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সেনাবাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সেখানে কর্মরত সৈনিকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সৈনিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সৎ, কষ্টসাধ্য, ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের ব্যাপারে আমরা অবগত রয়েছি। এজন্য আপনাদের বিভিন্ন কল্যাণের বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে, রেশন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর বাইরে সারা দেশে প্রাক প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সদস্যদের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করেছে। উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাতে আপনাদের সন্তানরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্তে¡ও সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। আজ বিশ্বব্যাপী এ দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পেয়েছে।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে গাড়িবহর শাহজালাল (র.) এর মাজারে এসে পৌঁছান। পরে বেলা ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। সেখানে মাজার জিয়ারত শেষে বেলা ১টার দিকে জালালাবাদ সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তরে ১১ পদাতিক ব্রিগেডসহ ৮টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদমেইল২৪.কম/এন আই/এনএস
Posted ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.