চীফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০১৭ | প্রিন্ট
হাকালুকি হাওর পাড়ে ৪র্থ দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে হাওরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাবে। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ী, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা আর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে পড়ে হাকালুকি হাওর পাড়ের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে হাওর পাড়ের দূর্গত মানুষেরা। দীর্ঘ ৩-৪ মাস থেকে নেই কোন আয়-রোজগার। এছাড়াও গত ২ মাস থেকে ওএমএস ও ১ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে সরকারী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। সব মিলিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন দূর্গত এলাকার মানুষেরা।
এদিকে কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরের পানি বেড়ে মৌলভীবাজার সদর ও বাজনগর উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি রয়েছে কয়েক মাস থেকে।
সরেজমিন হাওর তীর ঘুরে দেখা যায়, ৩য় দফার বন্যার পর সপ্তাহ খানেক বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি কয়েক ফুট কমেছিল। রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বাড়ী ভেসে উঠেছিল। কিন্তু গত কয়েকদির অবিরাম বৃষ্টিতে ফের পানি বেড়ে আগের অবস্থায় চলে গেছে।
এছাড়াও হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে হাওর পাড়ের ঘর-বাড়ী ও রাস্তা-ঘাটে নতুন করে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
হাওরপাড়ের ভুকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, ভাটেরা ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম জানান, গত ২ মাস থেকে ওএমএস ও ১ মাস থেকে সরকারী রিলিফ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। অনতিবিলম্বে যদি এসব ত্রাণ কার্যক্রম শুরু না হয় তাহলে বন্যা দূর্গত মানুষের মাঝে হাহাকার দেখা দিবে।
টিলাগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক জানান, গত ৫ জুন মনু নদীতে পানি বেড়ে টিলাগাঁও ইউনিয়নের মিয়ারপাড়াসহ ৭টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিলো। পরে নদীর পানি কমলে কোন স্থাননি টিকমতো মেরামত করা হয়নি। শুধুমাত্র কয়েক বস্তা বালু ফেলেছিল। গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃস্টিতে নদীতে ফের পানি বৃদ্ধি পেয়ে মিয়ারপাড়ার পুরতান ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পরে স্থানীয় কয়েক শতাধিক মানুষ শনিবার দিনরাত সেচ্ছাশ্রমে কাজ করে স্থানটি মেরামত করেন। ফলে ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা পায় নদী পাড়ের ৫০ গ্রামে সহস্রাধিক মানুষ। আমাদের দাবী অনতিবিলম্বে স্থানটি স্থায়ী মেরামত করা হোক।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌ. মো. গোলাম রাব্বী জানান, মনু নদীর একটি এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়ে ছিলো পরে এলাকাবাসী সেচ্ছাশ্রমে স্থানটি মেরামত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি, আশা করি পানি কমলে স্থানগুলো মেরামত করা হবে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩৯টি পয়েন্টে পাথরের ব্লক স্থাপনের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুমোদন হলে শুষ্ক মৌসুমে কাজ করতে হবে।
সংবাদমেইল/জেএইচজে
Posted ৪:০৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.