
অনলাইন ডেস্ক : | শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে সাংগঠনিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমের ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই বক্তব্য ভাইরাল হওয়া পর গাজীপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তারা জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলে।
এদিকে সে ঘটনার পর গত ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়৷ এরপর কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তাকে বহিষ্কার করা হলো ৷
এ সিদ্ধান্তের পর জাহাঙ্গীর আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হয়তো ভুল বোঝানো হয়েছে বা ভুল মেসেজ দেওয়া হয়েছে। উনি সঠিকটা জানলে হয়তো কোনো দিনই ব্যবস্থা নিতেন না।’
আজ শুক্রবার রাত আটটার দিকে তাঁর বহিষ্কারের খবর গাজীপুরে ছড়িয়ে পড়লে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, জয়দেবপুর শহর ও টঙ্গী এলাকায় জাহাঙ্গীরবিরোধীরা আনন্দ মিছিল বের করেন। চান্দনা চৌরাস্তার এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজাল হোসেন কল্লোলের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শুরু করে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়ক এলাকার প্রদক্ষিণ করে। এ সময় আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা–কর্মীরা মিছিলে যোগ দেন। মিছিলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রহিজ উদ্দিন, ১৭ ওয়ার্ডের ইয়াজ উদ্দিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের নেতা লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে জাহাঙ্গীরের অনুসারীরা গাজীপুরে মেয়রের নিজ বাসভবনে ভিড় করতে থাকেন। এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাও সেখানে উপস্থিত হন। জাহাঙ্গীর–ভক্ত গাজীপুরের বাসন এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে, তাই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি দলীয় পদ পাওয়ার পর প্রতিটি ক্ষেত্রেই চাঁদাবাজি, দখলবাজি বন্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মেয়র হওয়ার পর গাজীপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি, যা অতীতে কখনো হয়নি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দলের নেতা–কর্মীদের চাঁদাবাজি বন্ধ করেছি। দলকে আরও সুসংগঠিত করেছি।’
Posted ১০:৪৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.