
বিনোদন রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম। | মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
‘‘তারে কি আর এমনি পাওয়া যায়…’’পপগুরু আজম খানের গাওয়া এমনি একটি গান আছে। আজম খানের গানের মতোই আজ ভক্তরা চাইলেও তার নাগাল পাবেন না। কারণ তিনি আর নেই। হারিয়ে গেছেন না ফেরার দেশে। কিন্তু তাতে কি! পপগুরু বেঁচে আছেন তার গানের ভেতর দিয়ে। আজ পপগুরুর জন্মদিন। ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ৫ই জুন তিনি হারিয়ে গেছেন আমাদের ছেড়ে।
আজম খান সময়ের সেই সন্তান যিনি বাংলা গানের জগতে এক নতুন প্লাবন বইয়ে দিয়ে কায়েম করে গেছেন নিজের রাজত্ব। চলুন জন্মদিনে সেই সুরের সন্তানকে স্মরণ করি সুরে সুরে। কারণ তাকে স্ব-শরীরে আর ফিরে পাব না আমরা।তাই আমরা তাকে খুঁজে ফিরব তার গানে গানে। জাদুকরী গানের তালে তালে তিনি হেসে উঠবেন, গেয়ে উঠবেন ‘ওরে সালেকা মালেকা, পারলিনা ফেরাতে’।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়তে মুক্তিযোদ্ধারা যখন নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কেউ রাজনীতি, কেউ সেনাবাহিনিতে যোগ দিচ্ছেন কেউবা সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তখন মুক্তিযোদ্ধা আজম খান দেশ গড়ার প্রত্যয়ে হাতে তুলে নেন গিটার, গানের ভুবনে নিয়ে এলেন নতুন এক স্বর।
বাংলার সুরে সুরে মিশে যেতে থাকল পপ গানের জাদুকরী চঞ্চলতা। এই প্রথম রবীন্দ্র নজরুল আর পল্লী গানের নুয়ে পড়া সুর থেকে বাংলা গানে প্রবেশ করল রক্তে চঞ্চলতা তৈরি করা ঝাঁঝ। যদিও এই ঝাঁঝ বাংলার নিজস্ব সম্পদ নয়, তবু গানপিপাসু মানুষকে ঠিকই আলোড়িত করে তুলল। তাঁর গাওয়া ‘রেল লাইনের ঐ বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’- এর মতো নতুন ধারার গান পাল্টে দেয় বাংলার মিউজিক জগৎটাকে!সেই আলোড়ন এমনটাই প্রকট আকার লাভ করল যে, আজম খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গড়ে উঠল গানের নতুন ভুবন। গড়ে উঠতে থাকল একের পর এক ব্যান্ড দল। আর সময় তাকে গ্রহণ করে নিল গুরু হিসেবে। কিংবদন্তি এই শিল্পী যতদিন বেঁচে ছিলেন সঙ্গীতের আরাধনা করে গেছেন। শুধু সঙ্গীত নয় মুক্তিযুদ্ধে গুরু আজম খান ছিল গেরিলা অভিযানের অসীম সাহসী একজন সৈনিক। তার অবদান কখনো ভোলার নয়।
পপ সম্রাট আজম খানের প্রয়াণ দিবসে পাঠকদের জন্য তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানের লিংক দেওয়া হলো-
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএসকে/এনএস
Posted ১:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.