
বিশেষ প্রতিবেদক ,সংবাদমেইল২৪.কম | শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭ | প্রিন্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে ১২ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হবে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পরীক্ষার্থী নারী। বাকিরা হলেন- আল ইমরান, শাহ পরান, আবুল বাশার, নাহিদ হাসান, তানভীর হোসাইন, রফিকুল ইসলাম, খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম, এসএম জাকির হোসাইন, আবু হানিফ ও নূরে আলম। এদের মধ্যে নূরে আলম ছাড়া বাকি সবার কাছে এটিএম কার্ডের মতো একটি যন্ত্র (ডিভাইস) পাওয়া গেছে। নূরে আলমের কাছে মুঠোফোন পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, “এই যন্ত্রের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ করা যায়। তারা কানের মধ্যে একটি ছোট আকারের হেডফোন লাগিয়ে রেখেছিলেন এবং বাইরে থেকে কেউ প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিল। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে।”
প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, আহমেদ বাওয়ানি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ থেকে দুজন করে এবং মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন থেকে একজন করে আটক করা হয়েছে।
প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তৎপরতার কারণে তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। এর সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৬৫টি আসনের বিপরীতে ৮৯ হাজার ৫০৬ জন ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ মোট ৮৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয়।
সংবাদমেইল২৪/জেএইচজে
Posted ১১:৫৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.