
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
হিন্দু ধর্মের সর্ববৃহৎ উৎসব দূর্গাপূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজার -২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: আব্দুল মতিন এমপির দেওয়া ও পূজা পরিষদের দেয়া চাল বিতরনের পৃথক দুটি তালিকা নিয়ে বিপাকে পড়েছে উপজেলা প্রশাসন। গেলো কয়েকবছর থেকে পূজা পরিষদ ও এমপির পৃথক দুটি তালিকা নিয়ে প্রায়ই সময়ই বিপাকে পড়তে হয়েছে উপজেলা প্রশাসনকে।
এবারও এ নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এমপি ও পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে। এতে করে তারা পৃথক পৃথক তালিকা প্রদান করে উপজেলা প্রশাসনকে। অবশেষে বুধবার মৌলভীবাজার জেলা প্রসাশন পূজা পরিষদের দেয়া তালিকা অনুযায়ীই চাল বিতরনের সিদ্বান্ত নিয়ে কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করে।
কুলাউড়ার ১শ ৯৬ টি পূজা মান্ডপে অর্ধ মে:টন করে সরকারী চাল বরাদ্ধ বিতরনের তালিকা প্রদান নিয়ে স্থানীয় স্বতন্ত্র এমপি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: আব্দুল মতিন এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে চলে স্নায়ুযুদ্ধ। ২ দিন পূর্বে কুলাউড়া উপজেলা সম্মেলনকক্ষে পূজার প্রস্তুতি সভা বয়কট করার ঘটনার পর বুধবার (১০ অক্টোবর) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত জেলা পর্যায়ে পূজার প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে অবশেষে এমপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নয়; পূজা উদযাপন পরিষদের তালিকা অনুযায়ীই চাল বরাদ্ধের সিদ্বান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামলীগ নেতা অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু বলেন, ‘পূজা পরিষদ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। স্বাধীনতা পরবর্তী অনেক এমপি দেখেছি কেউ কোন দিন হস্তক্ষেপ করেননি। এমপি তাঁর প্যাডে পি.আই.ওকে বরাদ্ধের তালিকা দিতে পারেন না। অতিতে আমাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী পূজা মন্ডপে সরকারী সহায়তা এসেছে। কিন্তু নিয়ম লংঘন করে এমপি আব্দুল মতিন পিআইওকে বরাদ্ধে তালিকা দেওয়ায় আমরা গত সোমবারের সভা প্রত্যাখান করেছিলাম। তবে বুধবার জেলা প্রশাসক আমাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বরাদ্ধ বন্টনের নির্দেশ দিয়েছেন। ’
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আশেকুল হক (১০অক্টোবর) বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন,পূজা উদযাপনের সভাপতি ও সম্পাদক ডিসি স্যারের কথা বলে অতীতের মতো তাদের (পূজা উদযাপন পরিষদের) তালিকা অনুযায়ী মান্ডপ গুলিতে চাল বিতরনের অনুরোধ জানালে ডিসি স্যার আমাদেরকে অতীতের ন্যায় বরাদ্ধ বন্টনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আব্দুল মতিন এমপির সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, কুলাউড়ায় সার্বজনিন ১৯৬টি ও ব্যক্তিগতভাবে ২২টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ২/৩ দিনের মধ্যে সরকারী বরাদ্ধ বিতরনের কথা রয়েছে।
Posted ২:৩৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.