
নিজস্ব প্রতিবেদক : | শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা একটানা চলে ভোটগ্রহণ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ৫ ইউনিয়নের ৪টিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে। ৫ ইউনিয়নের একটিতে আওয়ামী লীগ, দুটোতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং অপর দুটোতে বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুন নূর বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী লিয়াকত পেয়েছেন ৫ হাজার ২২৭ ভোট।
পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ওবায়দুল ইসলাম রুহেল ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালেহ উদ্দিন আহমদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদির তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৫৪১ ভোট।
পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনফর আলী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীকান্ত দাস নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৩৮ ভোট।
জায়ফরনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী মাসুম রেজা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ১০ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জায়েদ আনোয়ার চৌধুরী তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৭১ ভোট।
গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীক নিয়ে শাহাব উদ্দিন লেমন পেয়েছেন ৩ হাজার ৫০৩ ভোট।
জুড়ী উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, সাধারণ সদস্য ২০২ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৫২ জন সহ মোট ২৭৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৫ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার ৮ শত ৮১ জন এবং ৪৯ কেন্দ্রে এই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ভোটগ্রহণ উপলক্ষে কেন্দ্র ছিল ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। নির্বাচনী অপরাধের বিচার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় নিয়োজিত ছিলেন ৬৭০ জন বিচারিক ও নির্বাহী হাকিম। এছাড়াও পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব ও কোস্ট গার্ডের ভ্রাম্যমাণ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সিলেট বিভাগের চার জেলার ৪৪টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Posted ১:০২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.