
কুলাউড়া প্রতিনিধি :: | সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
আসন্ন ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী পরিবারের সন্তান জুবায়ের সিদ্দিকী সেলিমকে নৌকার একক প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় স্থানীয় ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। এ লক্ষে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্ধারণের জন্য এক জরুরী বর্ধিত সভা গত শুক্রবার বিকেল ৪টায় ভাটেরা সাইফুল তাহমিনা আলিম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শওকতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী কমিটির ২০জন সদস্য আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীতা নির্ধারণে বক্তব্য দেন।
সভায় ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীতা নির্ধারণের জন্য আলোচনাপূর্বক সর্বসম্মতিক্রমে ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আজীবন সভাপতি মরহুম আকমল আলী সিদ্দিকীর সুযোগ্য পুত্র, ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠতা সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা জুবায়ের সিদ্দিকী সেলিমকে দলের একক প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। জুবায়ের সিদ্দিকী সেলিমকে যদি দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক দেয়া হয় তবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবেন বলে নেতাকর্মীরা জানান। এছাড়া সদয় অবগতির জন্য উপজেলা, জেলা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি/সম্পাদক ও নির্বাচন বোর্ডকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বর্ধিত সভায় ভাটেরা আওয়ামীলীগের ৬১জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বর্ধিত সভায় প্রত্যেকরই বক্তব্যে ওঠে আসে, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও বিগত ৫টি বছর দলীয় কোন কর্মসূচী বা কোন একটি সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেননি। শুধু তাই নয় সরকারের দেয়া ভিজিএফ, ভি.জি.ডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, সোলার, টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ থেকে দলের হতদরিদ্র অসহায় নেতাকর্মীরা বঞ্চিত ছিলেন। তিনি জামাত-বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত লোকদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়া বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের পক্ষে কাজ করেছেন। জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু বলেন, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী নন। নৌকা পেয়ে গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়ে তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দলকে ব্যবহার করেছেন। জামাত-বিএনপির নেতাদের নিয়ে তিনি সরকারি অনুদানসহ বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ ধরণের ব্যক্তিকে আমরা কখনো সমর্থন করতে পারিনা। তাঁর সকল বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অসন্তোষ্ট। তাই নজরুল ইসলামকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তৃণমূলের মনোনয়ন বা সমর্থন না দেওয়ার জন্য সংগঠনের ৬১ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম জানান, যারা আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন তারা কেউ প্রকৃত আওয়ামীলীগ নয়। বিভিন্ন দল থেকে তারা অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশকারীরাতো দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেই। আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির। নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
Posted ৯:২৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.