
বিশেষ প্রতিনিধি | রবিবার, ২৯ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
সাবেক জাতীয় অ্যাথলেট কুলাউড়ার সাঈদ-উর-রবসহ ৮৮ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব পাচ্ছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০১৩ সাল থেকে গত আট বছরে ক্রিকেট, ফুটবল, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, ভলিবল, হকি, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, দাবাসহ বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকেরা এই পুরস্কার জন্য মনোনীত হয়েছেন।
২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৮৮ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্বের নাম বাছাই করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। পরে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। জাতীয় পুরস্কার-সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি ৮৮ জনের নাম চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়। এ তালিকা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। এখন প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষায়। ২০১৪ সালের জন্য অ্যাথলেটিকসে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন সাবেক জাতীয় অ্যাথলেটিস সাঈদ-উর-রব।তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনে আনন্দের বন্যা বইছে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র, নগদ এক লাখ টাকা ও একটি ব্লেজার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সাঈদ-উর-রব, যিনি আশির দশকে অ্যাথলেটিকসে আটবার নিজের রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করেন। তিনি দেশসেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক গেমস অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দেশ-বিদেশে তাঁর পদকসংখ্যা ৯৪। তিনি শুধু একজন কৃতী অ্যাথলেট নন, ডিসকাস ও শটপুট থ্রোতে জাতীয় রেকর্ডধারী এবং রেসলিংয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করে ঢাকা শারীরিক কলেজ থেকে বিপিএড এবং নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ফিটনেস ম্যানেজমেন্টে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তাও। দীর্ঘ সময় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। বর্তমানে তাঁর গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় গড়ে তুলেছেন দেশের প্রথম আর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস মিউজিয়াম সেন্টার, যা দিন দিন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভীষণ আকৃষ্ট করছে।
খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সাঈদ-উর-রব একাধারে একজন লেখক, সংগঠক ও সমাজসেবক। সাঈদ-উর-রব নিউইয়র্কে যাওয়ার পর সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত হন। বহির্বিশ্বে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা পত্রিকা ঠিকানার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দুই দশকেরও বেশি সময়। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে : অনিয়মই নিয়ম, আমার ভাবনা, আতান্তর, ঠিকানা এলবাম, ঠিকানার মুখোমুখি সেরা-১৩৩, ঠিকানা সম্পাদকীয় (১৯৯৪-২০০৩), সাঈদ-উর-রব ১৯৭৭-২০১২, নোঙর ও প্রবাসে বাঙালি-বাঙালির প্রবাস। খেলাধুলা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সাঈদ-উর-রবের ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য পুরস্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ব্লু’ অর্জন।
সাঈদ-উর-রবের জন্ম মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার আমতৈল গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান। তিনি ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীনের বড় ভাই।
Posted ৭:২১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ আগস্ট ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.