স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
ঢাকা: রাজধানীর আশকোনার জঙ্গি আস্তানা থেকে প্রাক্তন মেজর জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলাকে ধরিয়ে দিয়েছেন তার মা। এ আস্তানার ব্যাপারে পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন শিলার মা জহুরা আক্তার। অভিযানের সময় তিনিই মেয়েকে অভয় দিয়ে মাইকে ডেকে বের করে আনেন।
জহুরা আক্তারের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে পুলিশ ওই এলাকার সূর্যভিলা ভবনে অবস্থিত জঙ্গি আস্তানাটিতে অভিযান চালায়। অভিযান এখনো চলছে।
ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ তথ্য জাহিদুল ইসলামের শাশুড়ির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জেবুন্নাহার শিলার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ধরতে কৌশলী পদক্ষেপ নেয়া হয়। শিলাকে আত্মসমর্পণ করাতে ভাই ও মা জহুরাকে নিয়ে আসা হয় জঙ্গি আস্তানার সামনে। তাদের হাতে দেয়া হয় হ্যান্ডমাইক। মাইকে শিলাকে আত্মসমর্পণের ডাক দেন তারা।
এসময় শিলার মা জহুরা মাইকে বলেন, ‘‘মা শিলা, তুমি আত্মসমর্পণ করো।”
শিলার আত্মসমর্পণের পর বেরিয়ে আসেন পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা।
শনিবার ভোর থেকে আশকোনায় হাজিক্যাম্পের কাছে তিনতলা ওই বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঘটনাস্থল থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “ভবনের নিচতলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ রয়েছে। যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তারা অস্ত্র জমা দিয়েছে।”
এ আগে ব্রিফিংয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, বাড়িটিতে ‘নব্য জেএমবির শীর্ষ এক নেতা’ রয়েছে। জঙ্গিদের কাছে শক্তিশালী গ্রেনেড রয়েছে। তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হচ্ছে। তবে তারা শরীরে গ্রেনেড বেঁধে প্রতিরোধের ঘোষণা দিচ্ছে।”
বাড়িটিতে এখনো অভিযান চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট যোগ দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রয়েছে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশের অভিযানে জঙ্গি জাহিদুল ইসলাম নিহত হন। এর পর গোয়েন্দা পুলিশ জাহিদুল ইসলামের শ্বশুর মমিনুল হক ও শাশুড়ি জহুরা আক্তারকে কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ওই বাড়ির মালিক জামালের মেয়ে জোনাকি জানান, তার বাবা কুয়েতপ্রবাসী। তারা ওই বাড়িতেই থাকতেন। পাঁচ মাস আগে ইমতিয়াজ নামের এক যুবক চাকরিজীবী পরিচয়ে তাদের বাসা ভাড়া নেয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়েই তাদের ভাড়া দেয়া হয়। এত দিন তাদের সন্দেহজনক তেমন কিছু চোখে পড়েনি। তবে ওই বাসায় অনেক লোকজন যাওয়া-আসা করত। এ বিষয়ে ইমতিয়াজ তাদের জানান, যারা আসে তারা তার স্বজন।
তিনতলা ভবনের নিচতলাতে ইমতিয়াজ থাকতেন। ঘরে তেমন কোনো ফার্নিচার ছিল না বলেও জানান জোনাকি।
সংবাদমেইল২৪.কম/এজেএল/এনএস
Posted ৪:৪৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.