
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
মৌলভীবাজারে দুটি জঙ্গি আস্তানার কোনওটিতে সাধারন এলাকাবাসী কাউকে জিম্মি করতে পারেনি জঙ্গিরা। জেলা পুলিশের একজন উর্ধবতন পুলিশ কর্মকর্তা তেমনটাই দাবি করে জানিয়েছেন, অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে, জঙ্গিরা কোনওকিছু বুঝে ওঠার আগেই সাধারন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
রাত থেকেই মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকার একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ও সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজারের কাছে বাহাদুরপুর গ্রামের একটি একতলা বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। প্রথমেই আশেপাশে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগে থেকেই সদরের জঙ্গি আস্তানাটির খবর ছিলো গোয়েন্দাদের কাছে। সে অনুযায়ী তিন দিন রেকি করে আস্তানাটির বিষয়ে যখন নিশ্চিত হয়ে তা ঘেরাওয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়, তখনই জানা যায় ফতেপুরের আস্তানাটির খবর। তখন সেখানে দ্রুত পুলিশ চলে যায় এবং দ্রুত কৌশলে আশে পাশের মানুষকে সরিয়ে নেয়।
ভোররাতের দিকে পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে জঙ্গিরা তৎপর হয়ে ওঠে। তারা গ্রেনেড ছুড়ে মারে ও গুলি চালায়।
আত্মরক্ষার্থে নিরাপদ অবস্থান নিয়ে পুলিশও গুলি চালাতে থাকে। একই সময়ে শুরু হয় দুই জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযান।
তখন থেকেই উভয় আস্তানায় জঙ্গিরা বেশ কয়েকবার গ্রেনেড চার্জ করে। এছাড়া গুলি ছোড়ে। পাল্টা গুলি ছুড়ছে পুলিশও।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের সাথে এই অভিযানে শুরু থেকেই রয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।
সংবাদমেইল২৪.কম/এমইইউ/এন আই
Posted ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.