
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
সুনামগঞ্জ: ছাতক সিমেন্ট কারখানা হাসপাতালে ডাক্তারের সাড়ে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রুহুল আমিন (৪৫)।
(২৭ নভেম্বর) রোববার ছাতক সিমেন্ট কারখানা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়া রুহুল আমিন পৌর শহরের নোয়ারাই-ইসলামপুর এলাকার মৃত কাঙ্গালি মিয়ার পুত্র ও ছাতক সিমেন্ট কারখানার রেলওয়ে পরিবহন শাখার কর্মচারী।
জানা যায়, সকালে বুকের মধ্যে ব্যথা অনুভব হলে দ্রুত রিক্সা যোগে নিজেই হাসপাতালে আসেন রুহুল আমিন। হাসপাতালে এসে ডাক্তারকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ছাতক শহরে অবস্থানরত ডা. আব্দুল হাকিম তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। অপেক্ষা করার এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রুহুল আমিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. আব্দুল হাকিম প্রতিদিনের ন্যায় রোববারও ছাতক শহরের একটি ফার্মেসীতে প্রাইভেট চিকিৎসায় ব্যস্ত ছিলেন। ডা. আব্দুল হাকিমের কর্মস্থল সিমেন্ট কারখানা হাসপাতালে অপেক্ষমাণ মুমূর্ষু রোগী রুহুল আমিনের ফোন পান তিনি দুপুর প্রায় ১২ দিকে। কিন্তু তার দায়িত্বে অবহেলা ও প্রাইভেট প্যাকটিসে ব্যস্ত থাকার কারণে খবর পাওয়ার প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরে ডা. আব্দুল হাকিম হাসপাতালে পৌঁছান। তিনি পৌঁছোবার আগেই বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রুহুল আমিন।
এ সময় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে সিমেন্ট কারখানা হাসপাতালের একমাত্র চিকিৎসক ডা. আব্দুল হাকিমকে মারধর করে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে কারখানার ভারপ্রাপ্ত এমডি প্রকৌশলী আবু সাইদ হাসপাতালে পৌঁছে অবরুদ্ধ ডাক্তারকে মুক্ত করেন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাটি জানতে মোবাইল ফোনে ডা. আব্দুল হাকিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কারখানার ভারপ্রাপ্ত এমডি প্রকৌশলী আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বুকের ব্যথার রোগীর ক্ষেত্রে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। হায়াত নেই বলেই সে চলে গেছে। এখানে ডাক্তারের বিষয়টি মুখ্য নয়।
সংবাদমেইল২৪.কম/ওআর/এনএস
Posted ১২:৩০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.