
সংবাদমেইল ডেস্ক : | বুধবার, ০২ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যের কুনওয়ার বাই যাদব নামে এক বৃদ্ধা তার একমাত্র সম্পদ কয়েকটি ছাগল বিক্রি করে একটি টয়লেট তৈরি করেন। অবাক করার মতো বিষয় হল, তার এ ক্ষুদ্র উদ্যোগ বদলে দেয় পুরো জেলাকে। ওই জেলার মানুষের খোলামাঠে মলত্যাগের দীর্ঘদিনের অভ্যাস পুরোপুরি দূর হয়। বিবিসি
কুনওয়ার বাই যাদব নামের ওই বৃদ্ধার বয়স ১০৫ বছর। তিনি ছত্তিসগড় রাজ্যের ধামতারি নামের একটি জেলায় বাস করেন। টয়লেট বলে যে একটা জিনিস আছে তা কুনওয়ার বাই যাদবসহ ওই গ্রামের অনেকেই জানতেন না। গ্রামের কেউই টয়লেট ব্যবহার করেননি কোনোদিন। তাদের কাছে টয়লেট বলতে জঙ্গল আর খোলামাঠ।
হঠাৎ একদিন জেলা কালেকটরের মুখে প্রথম টয়লেটের কথা শোনেন কুনওয়ার বাই। তিনি তখনই ঠিক করলেন, যেভাবেই হোক তার বাড়িতে একটা টয়লেট বানাতে হবে। কিন্তু হাতে ছিল না টাকা। কোনো উপায় না পেয়ে শেষপর্যন্ত একমাত্র সম্পদ তার ছাগলগুলো বিক্রি করে দেন। জড়ো করেন মোট ২২ হাজার টাকা। ১৫ দিনের মধ্যে তৈরি হয় গ্রামের প্রথম টয়লেট।
গ্রামে শুরু হয় আলোচনা। আশপাশের গ্রাম থেকে লোকেরা টয়লেট দেখতে আসে দলবেঁধে। বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হতে থাকে টয়লেট। মাত্র একবছরের মধ্যে গ্রামের সব বাড়িতে টয়লেট তৈরি হয়। এমনকি গোটা রাজ্যের জন্য কুনওয়ার বাই হয়ে উঠলেন দৃষ্টান্ত। এ জন্য তিনি পদক পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে।
আরো অবাক করার বিষয় হল, ওই পদক নেয়ার জন্য জীবনে প্রথমবার গ্রামের বাইরে অন্য কোথাও গেছেন কুনওয়ার বাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা হয়েছে তার। ‘টয়লেট বিপ্লব’ ঘটানোর জন্য তিনি এখন রীতিমত তারকা।
এক জরিপে দেখা গেছে, ভারতে ৫৫ কোটি লোক উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে। ভারতে মোবাইল ব্যবহারির চেয়ে টয়লেট ব্যহারকারীর সংখ্যা অনেক কম।
সংবাদমেইল২৪.কম/বা/নাশ
Posted ৫:৫৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.