
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
ঢাকা: চা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বেতন বাড়ানো ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার পুষ্পগুচ্ছ হলে বাংলাদেশ চা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “চা শিল্পের ইতিহাস অনেক পুরোনো হলেও এ রকম প্রদর্শনীর আয়োজন এবারই প্রথম। এ প্রদর্শনী এ শিল্পকে এগিয়ে নেবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান আরদাশীর কবির, টি ট্রেডার্স এ্যাসোসিয়েশ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শান্তনু বিশ্বাস প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, “দেশে চায়ের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ১৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা। বর্তমানে দেশে চায়ের চাহিদা বছরে ৭০ মিলিয়ন কেজি। যা ১৯৭১ সালে ছিলো মাত্র ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন কেজি। আর ১৯৮০ সালে চা উৎপাদিত হয়েছিল ৪০ মিলিয়ন কেজি। বর্তমানে অর্থাৎ, ২০১৬ সালে উৎপাদিত হয়েছে ৮২ দশমিক ৫ মিলিয়ন কেজি। এ হিসাব থেকেই দেখা যায়, চায়ের উৎপাদন ও চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের চা শিল্প মোটেও ঝিমিয়ে পড়েনি। দিন দিন চায়ের চাহিদা বাড়ছে। বিশ্বের মোট চা উৎপাদনের ৩ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় “
দেশীয় চায়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও নানা ব্যান্ড নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আয়োজক সংস্থা জানায়, বাংলাদেশের চা শিল্পকে দেশ-বিদেশের চা প্রেমীদের কাছে তুলে ধরা, শিল্পের অবস্থান ও প্রকৃতি, বিভিন্ন ধরনের চা ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য পণ্য, চা বাগানের নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চা পর্যটন শিল্পের প্রচারই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য।
এ প্রদর্শনীর মাধ্য দর্শনার্থীরা বাংলাদেশের চা শিল্পের বিষয়ে বিশদ ধারনা নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে ভালো মানের নানা প্রকারের চা এবং চা সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে।
প্রদর্শনীতে ১৬টি স্টল ও ৩০টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। অনুষ্ঠান সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশীয় চা সংসদ, সিটি গ্রুপ, ডানকান ব্রাদার্স বাংলাদেশ লিমিটেড, ফিনলে চা, এইচআরসি, ইস্পাহানি ও সিলোন চা।
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএ/এনএস
Posted ৭:১২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.