জয়নাল আবেদীন,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ১১ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
শমশেরনগর-চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন সড়কের ৬ কি.মি. রাস্তায় ১৬টি স্থান ভেঙ্গে গেছে। শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন ভাঙ্গা কালভার্টের উপর একটি নতুন বেইলী সেতু স্থাপনের পর হালকা যানবাহন চলাচল শুরু করলেও দীর্ঘ এক মাস যাবত চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে আমদানি রপ্তানী বন্ধ রয়েছে।
সরজমিন শমশেরনগর-চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ১৬টি স্থানে ছোট বড় ভাঙ্গন ৩৫ ফুট থেকে ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে। সড়ক জনপথ বিভাগের উদ্যোগে সড়কের ভাঙ্গন এলাকায় ইটসলিং এর কাজ চলছে। সড়ক জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা সহকারী তপন বিকাশ দেব বলেন, বন্যার পানির স্রোতে এ সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ভাঙ্গনের ৮টি স্থানে ইট সলিং এর কাজ সম্পন্ন হয়ছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের আমদানি রপ্তানীকারক সাইফুর রহমান রিমন বলেন, ভাঙ্গা কালভার্টের উপর বেইলী সেতু স্থাপিত হওয়ায় ও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে ইটসলিং কাজ শুরু হওয়ায় হালকা যানবাহন চলাচল করছে। তবে বেইলী সেতু দিয়ে আমদানি রপ্তানীকারী ভারী যানবাহন চলাচল এখনও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। কবে যে আমদানি রপ্তানী শুরু হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সড়ক জনপথ বিভাগ ও শুল্ক বিভাগ নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত তারা এ পথে আমদানি রপ্তানী বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
চাতলাপুর চেকপোষ্টের অভিবাসন কর্মকর্তা (ইমিগ্রেশন) এসআই জামাল হোসেন বলেন, ভাঙ্গা কালভার্টের উপর স্থাপিত বেইলী সেতুর উপর দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু করায় আর ভাঙ্গা সড়ক এলাকার মাটি ড্রেসিং করে দেওয়ায় দুই দেশে যাতায়াতকারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছে।
সড়ক জনপথের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, স্থাপিত বেইলী সেতু হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন ও চেকপোষ্ট পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত সড়কে ইটসলিং কাজ চলছে। তবে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। ক্ষতিগ্রস্থ পুরো সড়ক উন্নয়নে প্রস্তাব গ্রহন করে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন আছে। দরপত্র হলে দ্রুত সময়ে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য গত ১২ জুন বুধবার ভোর রাতে মনু নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ২০০ গজ দূরুত্বে একটি কালভার্ট ধেবে যায়। পর্যাক্রমে এ কালভার্টটি ভেঙ্গে গেলে এ পথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শরীফপুর ইউনিয়নের আরও ৩টি স্থানে মনু প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে সঞ্জবপুর গ্রাম এলাকা থেকে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন ও চেকপোষ্ট পর্যন্ত ৬ কি.মি. সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত চাতলাপুর স্টেশন দিয়ে বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি-রপ্তানী।
Posted ৬:৪৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১১ জুলাই ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.