
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
(০৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃতীয় দফায় মুলতবির আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন বিচারক।
এদিন বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া।
এদিন মামলার শুনানি মুলতবি করার দুই বার আবেদন জানালে আদালত তা খারিজ করে দিয়ে খালেদা জিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেয়ার নির্দেশ দেন। তৃতীয় দফায় তা মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ১ ডিসেম্বর দুপুরে দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৩২ সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শোনান।
বিচারক খালেদা জিয়াকে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি (খালেদা) নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
বিচারক তখন খালেদা জিয়ার কাছে মামলায় সাফাই সাক্ষীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘মামলায় সাফাই সাক্ষী দেয়া হবে। পরে বিচারক আরও বলেন, আপনি (খালেদা) কী এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেবেন?’’
উত্তরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি বক্তব্য দেব।’’
পরে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘দেশকে আজ কারাগার বানানো হয়েছে। সবখানে চলছে অস্থিরতা। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী এ মুহূর্তে কারাগারে বন্দি। বিএনপির প্রায় ৭৫ হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করছেন। দলের চার লাখের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৫ হাজারের মত মামলা করা হয়েছে। নির্যাতন, হয়রানি ও গ্রেফতারের ভয়ে বহু নেতাকর্মী ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গুম, খুন, অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী।’’
বক্তব্যের পর খালেদা জিয়া বিচারককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘আজ আর বক্তব্য দিতে চাই না।’’
তখন বিচারক খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী বক্তব্যের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিনকোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতবছর ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদমেইল২৪.কম/এনআই/এনএস
Posted ৩:১৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.