সোমবার ২৯ মে, ২০২৩ | ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০

ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা : মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট  

ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা : মির্জা ফখরুল

কুমিল্লার ঘটনাসহ সারা দেশে পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিএনপি। দলটি বলেছে, বর্তমান যুগে কিছুই ঢেকে রাখা যায় না। অবগুণ্ঠন উন্মেচিত হয়ে সত্য প্রকাশ পাবেই। কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ ধরে সারাদেশে যে ন্যাক্কারজনক পরিকল্পিত নীলনকশা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে সেটা আজ জনগণের কাছে স্পষ্ট। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, পবিত্র কোরআন অবমাননা, পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে নিরাপত্তা বিধান না করে হামলা-ভাঙচুর-সংঘাত-সংঘর্ষকে উসকে দিয়ে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে, মদদ দিয়ে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চক্রান্ত্রে মেতে উঠেছে সরকার। গণতন্ত্রের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে তারা সাম্প্রদায়িক সংঘাতের উপকরণ ছড়িয়ে, সহিংস রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেতে চায়। সরকারের পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক উসকানি ও এর ফলশ্রুতিতে দেশব্যাপী রক্তাক্ত হিংসাশ্রয়ী ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘নিরব’ ভূমিকার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্গাপূজার প্রাক্কালে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আশ্বাস দেয়ার পরও কেন পবিত্র কোরআন অবমাননা, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটলো। কুমিল্লার সাধারণ মানুষের মতো আমরাও একমত যে, পুলিশ বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে নানুয়া দীঘীর পাড়ের মণ্ডপের ঘটনাটি নির্মম অমানবিকতার দিকে গড়াতো না। একই ঘটনা ঘটেছে চৌহমুহনীতে। বার বার প্রশাসনকে বলার পরে, পুলিশ বাহিনীকে বলার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ৬ ঘণ্টা ধরে সেখানে নৈরাজ্য চলেছে, লুটপাট চলেছে, ভাঙচুর চলেছে। কিন্তু তারা নিরব ছিলো। তারা দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এসব চক্রান্ত করে একটা লাভ আছে আওয়ামী লীগের। হিন্দুদের তাড়াতে পারলে সম্পত্তি পায় আর রাখতে গেলে ভোট পায়। দু’টাতেই তাদের লাভ। তাই এই চক্রান্ত আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, এদেশের আলেম-উলামাদের কাছেও আবেদন থাকবে যে- আপনারা এই সরকারের ফাঁদে পা না দিয়ে আপনারা সংগঠিত হোন এবং আজকে এই ঘটনার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলন, কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীসহ বেগমগঞ্জ উপজেলার সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস বক্তব্য রাখেন। উপস্থি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, গৌতম চক্রবর্তী, শামসুল হক প্রামাণিক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদসহ অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।

Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত