
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০২০ | প্রিন্ট
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন ও স্টাফদের কলোনিতে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পানির জন্য হাহাকার শুরু করেছেন কলোনিতে বসবাসরত রেলওয়ে স্টাফরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের পানি সরবরাহের একমাত্র পাম্পটি বহু পুরাতন। ঘন ঘন সেটি নষ্ট হওয়ায় তা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কতৃপক্ষ বার বার পাম্পটি মেরামত করে সচল করলেও আগেরমতো পানি উত্তোলন করতে না পারায় স্টেশনে ভেতর পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সহ কলোনিতে বসবাসরত কয়েকশ পরিবার পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় দুর্বিসহ জীবনযাপন পার করতে হচ্ছে তাদের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে। স্টেশনের যাতায়াতরত যাত্রীরা অনেক সময় টয়েলেটে গিয়ে পানির জন্য বেকায়দায় পড়তে দেখা যায়। কলোনীতে বসবাসরত অনেকে ড্রেনের মধ্য দিয়ে যাওয়া পানির লাইন থেকে পানির চাহিদা মেটানোর জন্য পানির পাইপ থেকে ফুটো ফুটো করে বের হওয়া পানি সে গুলো সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করছেন। কিন্তু এ ড্রেন দিয়ে পাশাপাশি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকির মলমূত্র প্রতিদিন গড়িয়ে যাচ্ছে। এদিকে চলমান দাবদাহ গরমে পানির অভাবে গোসল, রান্ন-বান্না, খাওয়া-ধাওয়া হাঁড়ি-পাতিল ধুয়া,বাথরুমের পানি ও কাপড়-চোপড় ধুয়া নিয়ে কলোনী এলাকায় এক অসস্থিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত একজন স্টাফ জানান, কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে এক মাসের উপরে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেক কষ্টে মানবেতর দিন পার করতে হচ্ছে তাদেরকে। পানির পাম্প নষ্ট (বিকল) হওয়ার পর কয়েক বার মেরামত করা হয়েছে।কিন্তু আগেরমতো সেই পাম্প পানি উত্তোলন করতে পারছে না। মেরামত করা এই পানির পাম্প সারাদিনে একবার পানি সরবরাহ করলে ১কলস পানিও আমরা তুলতে পারি না। দ্রুত এই পানির পাম্প মেরামত করার জোর দাবী জানান তিনি।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মুহিবুর রহমান মুহিব জানান, পানির সংকট থাকায় আমাদেরকেও নানা সমস্যা পড়তে হচ্ছে। প্রায় এক মাসের উপরে পানির পাম্প বিকল থাকায় পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় স্টেশন পরিচালনায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বিষয়টি বার বার অবগত করার পরও এখনও স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছে না।
এ বিষয়ে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) জুয়েল হোসাইন বলেন, পানির পাম্প মেরামত বা সরবরাহের কাজ আমার বিভাগের দায়িত্বে নয়। তাই আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এই সমস্যা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ও পানির সরবরাহ বিভাগ দেখবাল করে, তারা এ বিষয়ে নিয়ে ভালো বলতে পারবে। রেলওয়েতে ১১ টি বিভাগ রয়েছে। আমার বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে বাসা-বাড়ি ণির্মান ও মেরামত কাজ দেখবাল করা।
এব্যাপারে সিলেট অফিসে কর্মরত উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আসাদ উদদৌলাহ জানান, পানির পাম্প অনেক আগে নষ্ট ছিলো কিন্তু এখন তা সচল আছে। এবং পানি উত্তোলনের কাজ চলছে।
Posted ৪:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০২০
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.