
বিশেষ প্রতিনিধি:: | রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
কুলাউড়ার ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ তুলেছেন খোদ নিজ দলের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬০ জন সদস্য স্বাক্ষর করেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও পাঁচটি বছরে দলীয় কোন কর্মসূচি বা একটিও সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেননি। শুধু তাই নয় এ পাঁচটি বছর সরকারের দেয়া ভিজিএফ, ভি.জি.ডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, সোলার, টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ থেকে দলের হতদরিদ্র অসহায় নেতাকর্মীরা বঞ্চিত ছিলেন। তিনি জামাত-বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত লোকদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ভাটেরা ইউনিয়ন অফিস যেন জামাত-বিএনপির কার্যালয়। এছাড়া তিনি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন। এমনকি ভাটেরা ইউনিয়নে বিভিন্ন সময় ত্রাণ বিতরণে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান আফার, ইউনিয়ন জামাতের সভাপতি আব্দুল করিম ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল হক খোকনকে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন। চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা প্রতিবাদ কর্মসূচীও করেন।
ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু বলেন, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী নন। নৌকা পেয়ে গত নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান হয়ে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দলকে ব্যবহার করে অনেক ফায়দা লুটেছেন। চেয়ারম্যান হয়ে তিনি এখন আর আওয়ামীলীগকে চিনেন না, আওয়ামীলীগকে প্রতিপক্ষ মনে করেন।
অভিযোগ বিষয়ে ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম বলেন, যারা এই অভিযোগ করেছেন তারা কেউ প্রকৃত আওয়ামীলীগ নয়। বিভিন্ন দল থেকে তারা অনুপ্রবেশ করেছে। উপজেলা আ’লীগের সভাপতির পছন্দের বিএনপি-জামাতপন্থীদের নিয়ে ভাটেরা আ’লীগের কমিটি করা হয়েছে।
বিএনপি-জামাত লোকদের নিয়ে কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিষদের ত্রাণ বিতরণ আলাদাভাবে করা হয়েছে, করোনাকালীন সময়ে ইউনিয়নে যেসকল ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ত্রাণ ও বস্ত্র বিতরণের আয়োজন করেছে তখন চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে দাওয়াত দেয়ার কারণে আমি তাদের অনুষ্ঠানে গিয়েছি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। সে আমাদের দলের কেউ নয়। উপজেলা বা ইউনিয়ন কমিটির কোন পদবীতেও সে নেই। দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুলের বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের করা অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউনিয়ন কমিটির মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
Posted ৭:০৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.