
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
কুলাউড়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি এখন ওই এলাকার মানুষের মুখে মুখে। ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কাছে ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আল্টিমেটাম দিচ্ছেন। কারণ একটি প্রভাবশালী পক্ষ মেয়েটির পরিবারকে ওই ঘটনাটি নিয়ে বিচারের জন্য দৌড়ঝাঁপ না করতে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে মেয়েটির পরিবারের সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব করার কৌশলে ভিকটিমের পরিবারকে আপস-নিষ্পত্তির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে একটি মহল। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইছে। এতে ভিকটিমের সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা শঙ্কার মুখে পড়েছে।
ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণচেষ্টার শিকার ৯ বছরের শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার ২৮শে অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ওই শিশুটি পার্শ্ববর্তী গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি কুটি মিয়ার বাড়িতে যায় আমলকী আনতে। এ সময় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কুটি মিয়া (৪২) ওই শিশুটিকে পথরোধ করে ২৫ টাকা পাওনা দাবি করেন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক শিশুটিকে ৩শ গজ দূরে বেলজিয়াম গাছের বাগানের ঝোঁপে নিয়ে যান এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন কুটি মিয়া। এ সময় শিশুটি চিৎকারে বাগানের আশেপাশে থাকা লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। কুটি মিয়ার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ওই শিশুটি ভয় পেয়ে দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতাহের উদ্দিন শিশুসহ কয়েকজন লোক আমার বাড়িতে এসে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেন, এবং এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে কোনো খবর যাতে না যায় সেজন্য সতর্ক করে দেন।
ওই শিশুর স্বজন (সম্পর্কে নানা) জানান, আমাদেরকে বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে জানিয়েছেন মেম্বারসহ স্থানীয় কয়েকজন লোক। এখনো পর্যন্ত বিষয়টি সমাধানের কোনো খবর পাইনি। কুটি মিয়ার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন আমি কিছু বলবো না পরে জানাবো বলে ফোন কেটে দেন।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতাহের উদ্দিন শিশুর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত কুটি মিয়া ও ঘটনার শিকার ওই শিশুটির কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়েছি। ওই শিশুর স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, কুটি শিশুটিকে জোর করে একটি ঝোপে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে শিশুটির চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তিনি আরো বলেন, কুটি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য আমাদের অনুরোধ করে। এ রকম ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা ও প্রশাসনকে না জানিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধান করা যায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি আমার পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করে প্রশাসনকে বিষয়টি জানাবো।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৪:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.