
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ০৪ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের ৩ সন্ত্রাসী ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এক প্রবাসী পরিবার। তাদের নানামুখী অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ভুক্তভোগী পরিবার বুধবার সকাল ১১ টায় মৌলভীবাজার জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বরমচাল ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের মৃত সুরুজ খানের ছেলে দুবাই প্রবাসী মোঃ কামাল খান এর স্ত্রী রোশনা বেগম (৪০) সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার স্বামীর ৩ সৎ ভাই শহীদ খান (৪০), সাহেল খান (৩৬) ও সুমেল খান (২৮) নানা অপকর্মের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত। তাদের প্রত্যেকের নামে ৮ থেকে ১০টি করে সরকারী ও ব্যক্তিবিশেষে মারামারি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় এজাহারে অভিযুক্তও তারা। তš§ধ্যে সাহেল খান একটি মামলায় ২ বছরের সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত আসামী।
রোশনা বেগম বলেন, আমার স্বামী প্রায় ১০ বছর থেকে প্রবাসে থাকার সুবাদে তার স্বামীর টাকা পয়সা ও সম্পদের লোভে বেপরোয়া হয়ে ওঠে শহিদ, সাহেল ও সুমেল। তারা নানাভাবে তাকে ও তাদের সন্তানদের অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করে। প্রবাস থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা ছিনতাই, তার ছেলেকে মারপিট করে, তাদেরকে নিয়মিত টাকা না দিলে প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকে তারা। এ নিয়ে একাধিক মামলা ও জিডি করা হলেও কোন প্রতিকার মিলছে না।
তিনি বলেন, তাদের মারপিটের ঘটনায়, ছিনতাইয়ের ঘটনায়, ছেলেকে প্রাণনাশের চেষ্টার ঘটনায় আমি মামলা করি। কিন্তু মামলাবাজরা অত্যন্ত চতুরতার সহিত তা এড়িয়ে উল্টো মামলা তুলে নিতে আমাদের হুমকি দেয়। একাধিক মামলার আসামী হয়েও সাহেল খান অদৃশ্য ক্ষমতার বলে থানা পুলিশ, আদালত পাড়ায় বীরদর্পে চলাফেরা করে এবং এলাকায় অনেককেই মামলার ভয় দেখায়। তাদের অত্যাচারে এলাকার আরও অনেকেই অতিষ্ট। কেউ সামনাসামনি মুখ খুলতে সাহস পায় না। কারণ, অন্ধকারে তারা খুবই হিংস্র ও ভয়ঙ্কর। রোশনা বলেন, তাদের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে এলাকার যার কাছে বিচারপ্রার্থী হই তাদেরকেও তারা হুমকি দেয়।
থানায় অভিযোগ দিতে গেলে রাবার চুরি করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাত পঙ্গু সাহেল খান অত্যন্ত সুচতুর হওয়ায় আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসে। তিনি অসহায় ও নিরূপায় হয়ে গণমাধ্যমের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসনসহ সমাজের বিবেকবান মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন।
Posted ৫:১৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ নভেম্বর ২০২০
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.