বাংলাদেশ রেলওয়ে সিগন্যাল অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রভাষ কুমার মল্লিক বলেছেন, উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা যুগ যুগ ধরে চলে আসা রেলওয়ের দাসত্বের শৃংঙ্খল থেকে মুক্তি পেলেও রেল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের শোষণ-নিপীড়ন থেকে আজও মুক্তি পাই নি। তাই যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাব, ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সিগন্যাল অ্যাসোসিয়েশন কুলাউড়া শাখার আয়োজনে ‘সিগন্যাল অ্যাসোসিয়েশন দিবস ও দাসত্বের শৃংঙ্খল ভেঙ্গে মুক্তির’ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কুলাউড়া শাখার সভাপতি রতন কুমার শীলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রেলওয়ের সিগন্যাল বিভাগের কর্মরত ভুক্তভোগীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী ও সম্পাদক মো. খালেদ পারভেজ বখশ, জাতীয় শ্রমিক লীগ কুলাউড়া শাখার সম্পাদক আহবাব হোসেন রাসেল, কুলাউড়া রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সম্পাদক আব্দুর রহিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তুহিনুর রহমান ইয়াকুব, কুলাউড়া সিগন্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সাদেকুর রহমান মজুমদার, সদস্য তারেক হোসেন খান প্রমুখ।
সভার পূর্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে এক শোভাযাত্রা কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন চত্বরে প্রদক্ষিণ করে।
অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রভাষ কুমার মল্লিক জানান, রেল প্রশাসনের সিগন্যাল শাখার কর্মরতদের দিয়ে যুগ যুগ ধরে একই ব্যক্তিকে দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করানো হয়। ৮ ঘন্টার ডিউটিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবি জানানো হলেও রেল প্রশাসন তাদের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষিত করে রাখায় এরই ধারাবাহিকতায় সুবিধা বঞ্চিতরা ২০১০ সালে উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন করে। এরই প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০২০ সালে তাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। রায়ের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেলওয়ের ডিজি তা কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও সিগন্যালের কর্মচারীরা বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের শোষণ-নীপিড়নের শিকার হয়ে আসছেন।
তিনি রেল প্রশাসনের কাছে বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাপ্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকশী বিভাগে সিগন্যালের ৬ জন কর্মচারীর সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাদের পূর্বের ন্যায় বেতন-ভাতাদি প্রদানের দাবি জানান। তিনি আরও জানান, বিগত ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে সিগন্যাল অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়। এ পর্যন্ত সংগঠনের ১৮টি শাখা গঠন করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
Comments
comments
Posted ৩:১৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam