বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | শুক্রবার, ০৬ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
কুলাউড়ায় মসজিদের শিরনী বিতরণে কথা কাটাকাটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২ নারীসহ ৬জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা এলাকার নজাতপুর এলাকায় সপ্তাহখানেক পূর্বে একটি ছেলে মারা যায়। ওই ছেলের কুলখানি উপলক্ষে নজাতপুর জামে মসজিদসহ কয়েকটি মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদ শেষে শিরনী বিতরণের সুবিধার্থে মসজিদের পাশে একটি মাঠে শিরনী বিতরন করা হয়।
শিরনী বিতরণকালে ওই এলাকার ক্বাজী আজির উদ্দিনের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন মধ্য কৌলা গ্রামের বাসিন্দা ফুল মিয়ার ছেলে পায়েল মিয়া (১৪) কে লাইনে দাঁড়াতে বলে। একপর্যায়ে জসিম ধাক্কা দিয়ে পায়েলকে লাইনে বসায়। বিষয়টি পায়েল তার বাবাকে জানায়। এরপর ফুল মিয়া বিষয়টি জসিমের কাছে জানতে চাইলে জসিম ফুল মিয়ার সাথে তর্কে জড়ায় এবং একপর্যায়ে তাকে মারধর করে। পরে আজির উদ্দিনের পরিবারের লোকজন ফুল মিয়ার পরিবারের লোকজনকে ধাওয়া করে। পরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন ফুল মিয়া, তাঁর স্ত্রী আয়জুন বেগম, ছেলে পায়েল মিয়া, মেয়ে সিমলা বেগম ও চাচাতো ভাই আজাদ মিয়া। ফুল মিয়ার স্ত্রী আয়জুনের হাত ক্ববজি থেকে ছুটে গেছে এবং মেয়ে সিমলার কপালে গুরুতর আঘাত লাগে। অপরদিকে আজির উদ্দিনের চাচাতো ভাই সুহেল মিয়া আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। ফুল মিয়ার পরিবারের সদস্যদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার এস আই আব্দুর রহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিরনী বিতরণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, শিরনী নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ৬:৫৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ মার্চ ২০২০
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.