
বিশেষ প্রতিনিধি | সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১ | প্রিন্ট
কুলাউড়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আইসিটি ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টারের অতিরিক্ত দায়িত্ব সহকারি প্রোগ্রামারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি মুলত রাজনগর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি প্রশিক্ষক কিন্তু কুলাউড়া উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কোন উপজেলায়ই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে শিক্ষকদের আসিটি’র মত গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ।
সহকারি প্রোগ্রামার মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ড, কম্পিউটার ট্রেনিং বাতিল ও হয়রানির অভিযোগে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাস্টার ট্রেইনার মো. আব্দুল ওয়াদুদ। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত জানুয়ারি মাসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয় ০২ ফেব্রুয়ারি থেকে হার্ডওয়্যার ট্রেনিং করাতে হবে। ট্রেনিংয়ের আগের দিন ফোনে জানানো হয় ১৫ দিনের ট্রেনিংয়ের মধ্যে ৬দিনের সিডিউল দেয়া। বাকি ক্লাসগুলো সহকারি প্রোগ্রামার মইনুল ইসলাম করাবেন বলে জানান।
মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ট্রেইনার হিসেবে তার সাথে কথা না বলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত একজন শিক্ষক হিসেবে তাকে অপমান করার সামিল। যদিও ব্যানবেইস থেকে বলা হয় সকল ক্লাস শুধুমাত্র উক্ত বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনাররাই করাবেন। এদিকে যেসকল শিক্ষকবৃন্দ ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল তাদেরও ট্রেনিং বাতিল করে দেয়া হয়।
অভিযুক্ত সহকারি প্রোগ্রামার মইনুল ইসলাম জানান, মো. আব্দুল ওয়াদুদ নামে রিসোর্স সেন্টারে কোন ট্রেইনার নেই। আইসিটি ট্রেনিংয়ে কম্পিউটার বেসিক ও কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্ক এন্ড ট্রাবলশুটিং কোর্সে ট্রেনিং করানো হয়। এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্ক এন্ড ট্রাবলশুটিং ট্রেনিং বন্ধ রয়েছে। কেবল কম্পিউটার বেসিক ট্রেনিং চলছে। তাছাড়া প্রজেক্টর নষ্ট থাকায় ট্রেনিং করানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রজেক্টের ডিজি ট্রেনিং করার দরকার নাই বলেছেন।
কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, অভিযুক্ত সহকারি প্রোগ্রামারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। উনার বাড়ি কুমিল্লায়। মুলত তিনি রাজনগর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত। কুলাউড়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পান। কিন্তু কোন উপজেলায়ই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে প্রশিক্ষণও বিঘ্নিত হচ্ছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
Posted ৩:৪৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.