
| বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট
কুলাউড়ায় টাকা পাওয়ার দাবিতে ব্যবসায়ীর করা অনশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সৈয়দ সাব্বির জামিল নামে এক প্রবাসী।
(২৮ অক্টোবর) বুধবার দুপুরে কুলাউড়া শহরের একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে কুলাউড়া ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন- আমার বড়ভাই সৈয়দ মোবাশি^র আলী পংকী দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী, মেজভাই মুছাব্বির আলী কাজল ফান্স প্রবাসী এবং আমি সৈয়দ সাব্বির জামিল একজন প্রবাসী। গত ১৯ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আমার কুলাউড়ার নিজ বাসার সম্মুখে আমাদের প্রবাসী পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানি ও সামাজিকভাবে মান সম্মান ক্ষুর্ণ করার হীন উদ্দেশ্যে বাসার সামনে কথিত ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রিয়াদ তার মা বোনসহ ভাড়া করা লোকজন নিয়ে নাটকীয় অনশন করেন। এসময় আমার মামাতো ভাই নাজমুল ইসলাম স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কায়ছার আরিফকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তুু ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিয়াদের বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। এরপর আমাদের পক্ষ থেকে এই নাটকীয় অনশনে কেউ বাঁধা প্রদান করেনি। কারণ বাসায় আমার অসুস্থ পিতা মাতা ও মামাতো ভাই নাজমুল ছাড়া কেউ ছিলনা। রিয়াদ জানতো আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আছি এই সুযোগে সে মিথ্যা, বানোয়াট ও নাটকীয় অনশনে বসে আমার বাসার সামনে। অনশনে বসে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বলতে থাকে আমার কাছে জমি কেনা বাবত ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। অথচ ব্যবসায়ী রিয়াদের সাথে জমি কেনাবেচা নিয়ে আমার কোন লেনদেন নেই। এরপর এই মিথ্যা ফেসবুক লাইভ প্রচার করার কারণে দেশ-বিদেশে সামাজিকভাবে আমাদের পরিবারের মান সম্মান ক্ষুণœ হয়েছে। এসময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ রিয়াদের লোকজন নাটকীয়ভাবে আমার বাসার ভেতর ঢুকে আমার অসুস্থ মা-বাবাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে আসে এবং বাসার সামনের গেইটের সামনে এনে অপমান করে ফেসবুক লাইভ করে। শুধু তাই নয় রিয়াদ বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে আসছে।
তিনি আরও জানান, আমিনুল ইসলাম রিয়াদ তাকে ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাওলাদ দেন। সেই টাকা থেকে ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা সিটি ব্যাংকের ক্যাশ বাই কোডের মাধ্যমে পরিশোধ করি। বর্তমানে সে আমার কাছে ৪ লাখ টাকা পায়। সেই টাকা রিয়াদের বন্ধু এমদাদ পরিশোধ করার কথা। এমদাদ ইতোমধ্যে তাকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করে। বাকি টাকা এমদাদ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমি তা পরিশোধ করবো। ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণকালে টাকার বিপরীতে আমি ৩টি চেক প্রধান করি। কিন্তু সে আমার চেক ফেরৎ না দিয়ে টালবাহানা করছে। এছাড়া আমার বাসার জমি দখলের হুমকি দিচ্ছে। এতে আমার পরিবার চরম আতংকে ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছি। সংবাদ সম্মেলনকালে প্রবাসী সৈয়দ সাব্বির জামিলের মামাতো ভাই নাজমুল ইসলাম ও ফুফাতো ভাই নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমি তার কাছে টাকা পাই। দীর্ঘদিন থেকে তাকে খোঁজেও পাচ্ছি না। অনশন করার পর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজলসহ ৫ জন ব্যক্তির সমন্বয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। আগামী ৩০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক রয়েছে।
Posted ৮:০২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.