
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার টিলাগাঁও এএন উচ্চ বিদ্যালয় ও হাজীপুর ইউনিয়নের নয়াবাজার কেসি উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সহায়ক বই (গ্রামার) নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। সরকার চলতি বছর থেকে সহায়ক বই পড়ার অনুমতি দেয়ায় বিভিন্ন প্রকাশনীর সাথে আতাত করে কমিশন বানিজ্যে উঠেপড়ে লেগেছেন কতিপয় অসাধু শিক্ষক। তারা সিলেবাস দিয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রকাশনীর নি¤œমানের বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন। ওই প্রকাশনীর বই শিক্ষার্থীরা কিনলে তা থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন এইসব অসাধু শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। যদিও মানসম্মত অন্য কোন প্রকাশনির বই শিক্ষার্থী কিনে আনলে তা শিক্ষকদের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা পাচ্ছেনা। এনিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে অভিভাবক মহলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, সিলেবাসে কৌশলে জননী প্রকাশনীর বইয়ের বিভিন্ন প্যারাগ্রাফ, রচনা, ভাবসম্প্রসারন এর বিস্তারিত পড়তে নির্দিষ্ট পৃষ্টা নং উল্লেখ করে দেয়া হয়। তাই অন্য কোন প্রকাশনীর মানসম্মত বই কিনে আনলেও সিলেবাসের সাথে পৃষ্টা নংয়ের অমিল থাকায় তা ফেরৎ দিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন শিক্ষকরা।
এদিকে একাধিক অভিবাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদমেইলকে জানিয়েছেন অসাধু শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের চাপ দিয়ে নি¤œমানের সহায়ক বই (গ্রামার) বই কিনতে বাধ্য করছেন। তার কারন হচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত কমিশন বাণিজ্য। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করলে তারা বলেন বই বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে তোমাদের বনভোজনে পাঠাবো।
টিলাগাঁও এএন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল মছব্বির বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে সংবাদমেইলকে জানান, এ নিয়ে আমি তীব্র প্রতিবাদ করেছি।কিন্তু শিক্ষকরা তা কর্ণপাত করেননি।
‘পাশাপাশি তিনি বলে শনিবার ম্যানেজিং কমিটির মাসিক সভায় আমি বিষয়টি উত্তাপন করবো’।
টিলাগাঁও এএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধীর চন্দ্র মালাকার ও কেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাত চন্দ্র শর্মা সংবাদমেইলকে জানান,নির্দিষ্ট করে কোন প্রকাশনীর বই কিনতে নির্দেশনা দেইনি। তবে সিলেবাসের বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
সংবাদমেইল২৪.কম/জেএ/এনএস
Posted ৫:০৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.