
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের এবং টিলাগাঁও ও জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় উপজেলা জুড়ে চলছে তোলপাড়। ফেসবুকসহ নানা জায়গায় মানুষ আলোচনা-সমালোচনা মুখর। তাদের অপকর্মে দলীয় ভাবমূর্তি এবং দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সবুজকে গত ২২ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ২টায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের এক প্রবাসীর স্ত্রীর বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী রাসেল বখস আটক করেন। ওই বাসায় প্রতিদিনই যাতায়াত করেন। আটক অবস্থায় এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকলে কৌশলে পালিয়ে যান মইনুল ইসলাম সবুজ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ৫ জানুয়ারি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার মঞ্জুুর আলম চৌধুরী খোকনের বাসায় সর্বস্তরের বাসিন্দারা সভা করে এ ধরনের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সভায় পৌরসভার মেয়রকে ঘটনা অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিক ১২ জানুয়ারি উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইসলাম উদ্দিনকে লহরাজপুর গ্রামের গৃহবধূর ঘর থেকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। বিভিন্ন স্থানে থেকে তিনি কাজ করেন। প্রায়ই বাড়িতে আসা হয় না। সেই সুযোগে যুবলীগ সভাপতি পরকীয়ায় মজেন। দীর্ঘদিন থেকে তাদের অপকর্ম চলছে। ঘটনার দিনও বাড়িতে না থাকার সুবাধে গৃহবধূর ঘরে গেলে রাত আনুমানিক ৩টায় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করেন। পরে টিলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মালিক তাকে আটক অবস্থা থেকে মুক্ত করে আনেন এবং গৃহবধূকে তার মার জিম্মায় দেন। নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে লহরাজপুর গ্রামবাসী জানান, এদের অনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারে এর আগেও একাধিকবার সালিশ হয়েছে।
এদিকে উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে এক যুবতী সন্তানের পিতৃপরিচয় এবং স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ১২ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় যুবতী জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দুলাল মিয়া বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণে বিয়ের প্রলোভনে অভিযোগ করেন। গত ১০ অক্টোবর কুলাউড়া হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তারের পরামর্শে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেলের মাধ্যমে এই মামলা করেন।
নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সবুজ জানান, তার মানসম্মান ক্ষুণ করা ও স্বার্থ হাসিল করতে এ অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। টিলাগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইসলাম উদ্দিন জানান, এটা তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এলাকায় দলীয় গ্রপিং আছে। তাছাড়া মেম্বার নির্বাচন করার কারণে তার প্রতিপক্ষ এই চক্রান্ত করছে বলে তিনি দাবি করেন।
Posted ১০:১৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.