স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭ | প্রিন্ট
কুলাউড়া পৌরশহরের লস্করপুর থেকে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর সড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটারের অধিকাংশ স্থানের পিচ ঢালাই উটে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই। গর্তে ভরা এই সড়ক দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল এখন অসহনীয় হয়ে পড়েছে। সড়কটির বেহাল অবস্থায় ২০ মিনিটের পথে সময় লাগছে ১ ঘন্টা। এই সড়ক দিয়ে যানবাহনগুলো প্রতিদিন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।
কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের প্রতাবী, বনগাঁও, গুতগুতি, লক্ষীপুর, শংকরপুর, করেরগ্রাম, বালিশ্রী, নাজিরের চক, মিনারমহল, শ্রীপুর, বাগাজুড়া, হাসনপুর, হরিপুর, দাসেরমহল এলাকার জনগন এবং মালামাল পরিবহনের কুলাউড়ার সাথে যোগাযোগের একমাত্র প্রধান হল এই সড়কটি।
সড়েজমিন এ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, কুলাউড়া পৌর শহরের লস্করপুর হইতে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের লীপুর ভায়া রাঙ্গিছড়া পর্যন্ত প্রায় ৭.১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই সড়কটির শতাধিক স্থানে বড় বড় গর্ত স”ষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন শত শত ছোট যানবাহন চলাচল করছে। এই সড়ক দিয়ে কয়েক শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল- কলেজে যাওয়া আসা করছে। ব্যাপক সংখ্যক যানবাহন চলাচলে এবং গত বৃষ্টির কারণে ইট, বালু খোয়া উঠে গিয়ে সড়কে খানাখন্দকে পরিণত করেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের স”ষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক সিএনজিসহ অনেক ছোট যানবাহন দূর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে। রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণে এই সড়কে চালিত সিএনজির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ছে বলে সিএনজির চালকরা জানান। বিশেষ করে লক্ষীপুর গ্রামে কাদিরবক্সের মাজারের পাশে ম”ত গেন্দু মিয়ার বাড়ির কর্ণারে ৭ ফুট রাস্তা নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে এবং প্রায় ৫০ ফুট জায়গা ভেঙ্গে গেছে। শংকরপুর আকমল মিয়ার বাড়ির সামনে প্রায় ৬ ফুট জায়গা ভেঙ্গে বড় গর্ত এবং বাগাজুড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন জায়গায় ২টি স্থানে প্রায় ৩০ ফুট জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি আসলে গর্তগুলো পানিতে ভরপুর হয়ে যায় এবং যানচলাচরের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই এই সড়কটি ইট ও বালি দিয়ে সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকার সচেতন মহল। এই সড়কে চলাচলকারী সমাজসেবক কামাল আহমদ, সুফিয়ান আহমদ, ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, সায়েকুর রহমান রাজু, শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা শাম্মি, জেনী বেগম, মোহন আহমদ, ফয়ছল আহমদ, রেদওয়ান সুমন, সুয়েজ আহমদ, খালেদ আহমদ, সিএনজি চালক সোহেল, মদরিছ, হার”ন, রোকন, কাদির জানান, প্রতিদিন এই পথে তারা যাতায়াত করতে হয়। সড়কের বর্তমান অবস্থায় চলাচলে অনুপযোগি হয়ে উঠেছে। তারা আরও বলেন , যে ভাবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যাওয়ার পথে ঝাঁকুনিতে সুস্থ যাত্রীরা সহ্য করে যানবাহনে যাতায়াত করলেও কোন রোগীকে নিয়ে এই সড়কে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। কুলাউড়া উপজেলা (এলজিডি) সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রকিব বলেন, এই সড়কের সংস্কার কাজের জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার টেন্ডার ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। অচিরেই এই সড়কের কাজ শুরু হবে। এই সড়কের সম্পূর্ণ কাজ নতুন করে সংস্কার করা হবে এবং রাস্তার দুপাশ বড় করা হবে।
সংবাদমেইল২৪/জেএইচজে
Posted ১১:০০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.