
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রেসক্লাব কুলাউড়ার সাবেক সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু’র ওপর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
(১০ ফেব্রুয়ারী) সোমবার বিকেলে স্থানীয় কটারকোনা বাজারে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু’র ওপর মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র¿মূলক মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি না মানলে পরবর্তীতে হাজীপুর ইউনিয়ন বাসীকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারী প্রদান করেন।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আসুক মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা তোয়াহিদ মিয়া, প্রবীণ মুরব্বী আকবর আলী, জেলা জাতীয় পার্টি নেতা হারুন মিয়া, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান অপু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবদাল হোসেন, সমাজসেবক আহমেদ তালুকদার, কটারকোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত, ব্যবসায়ী মাসুম আহমদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মোমিন মিয়া, শফিক মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান রুমেন, জাবেদ আহমদ, আব্দুস সামাদ, এইচ কে হেলালুর রহমান, ফজলুল হক, মঞ্জু ও জাকির, কেসি ছাত্রলীগ সভাপতি নাবিল আহমদ রোমান। এছাড়া মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক লোক অংশ নেন।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, কুলাউড়ার হাজিপুরে ছোট্ট বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সালিশী বৈঠকে দু’পক্ষকে একত্রিত করে সামাজিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিচার করেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু। কিন্তু একটি বিশেষ মহলের যোগসাজশে বিচার শেষে একটি পক্ষকে দিয়ে চেয়ারম্যান বাচ্চুকে মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়ানো হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর হাজিপুর ইউনিয়নের রনচাপ গ্রামের বাসিন্দা প্রনয় দে’র পুত্র বখাটে পান্ত দে’র এলোপাতাড়ি লাথিতে গুরতর আহত হন তারই আপন কাকী বাবলী রানী দে। এতে বাবলী রানী দে’র অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ১৪দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলে ৫ই ফেব্রুয়ারি রনচাপ গ্রামে তাদের বাড়িতে বাবলী রানী বিচার প্রার্থী হলে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু, সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আব্দুর রউফ, সাবেক সদস্য সওয়াব আলী, মো. মইনুদ্দীন, মহিলা সদস্য আছমা বেগমসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীর ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে বিভিন্নজন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেবার প্রস্তাব তুলেন। কিন্তুু ইউপি চেয়ারম্যান বিচার বিশ্লেষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার রায় দেন এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকান্ড না করার জন্য পান্ত দে কে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেন। কিন্তুু জরিমানার টাকা না দেয়ার অজুহাতে প্রান্ত উপস্থিত সকলের সামনে উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে এবং উপস্থিত সকল বিচারকদের হুমকি দিতে থাকে।
পরিস্থিতি শান্ত করতে চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুসহ বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন পান্তকে আটকানোর চেষ্টা করেন। এর এক পর্যায়ে ধস্তধস্তি শুরু হলে প্রান্ত আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু সালিশের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জরিমানার টাকা না দেওয়ার অজুহাতে সালিশ বোর্ডের প্রধান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু ও নির্যাতিতা বাবলী রানী দে’র স্বামী প্রজয় দেবকে আসামী করে প্রান্ত দে’র মা অর্পিতা রানী বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে।
Posted ৮:৫৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.