
মোঃ তাজুল ইসলাম,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
কুলাউড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি।
শনিবার ভোরে আকস্মিকভাবে আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়। এতে মসজিদ, বসতঘর, গোয়ালঘর, পোল্ট্রি ফার্মের শেডঘরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক বিধ্বস্থ হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধান, রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মেম্বার নোমান আহমদ জানান, আকস্মিক ঝড়ের আঘাতে মুকুন্দপুর এলাকার দুলাল মল্লিক, মরহুম হাজী কলিম মিয়া, এমএ করিম, কবিরাজি গ্রামের হারিছ মিয়ার বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। কর্মধা ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের সফাত মিয়ার বসতঘর, কয়ছর মিয়ার দোকানঘর বিধ্বস্ত হয়। জয়চন্ডী ইউনিয়নের রংগীরকুল গ্রামের আমির আলীর গোয়ালঘর গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এসময় গোয়ালঘরে থাকা দু’টি গরু মারাতœক আহত হয়। সদর ইউনিয়নের করের গ্রামের খছরু মিয়া ও দেলু মিয়ার বসতঘর পড়ে যায়। এছাড়াও মুকুন্দপুরের মামুপীর পোল্ট্রি ফার্মের শেড, হিরু মিয়ার পোল্ট্রি ফার্মের শেডঘর ধুমড়ে মুচড়ে যায়। ঝড়ে পশ্চিম মুকুন্দপুর জামে মসজিদের টিনের ছালা উড়িয়ে নেয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুতের খুটিসহ লাইন পড়ে যাওয়ায় সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে উপজেলার ১৫-২০ গ্রামসহ হাটবাজার।
এদিকে কুলাউড়া থেকে জুড়ী হয়ে বড়লেখা উপজেলায় টানা পল্লীবিদ্যুতের ৩৩ কেভি মেইন লাইনে আছুরী ঘাট এলাকায় ১০-১২ খুঁটি ঝুলে আছে। যেকোন সময় খুঁটিগুলো পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বি জানান, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? তা নিরূপনে কাজ করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)।
সংবাদমেইল২৪.কম/কেইউ/এন আই
Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.