বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের মাদানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৫মাস যাবৎ থেকে মাত্র ১জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান।
২০১২ সাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি রয়েছে শূন্য। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক পাপিয়া পারভীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুধু তাই নয়, এর আগে ২০১৬ ও ২০১৩ সালে প্রায় ৯মাস একাই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানের আরেকজন সহকারী শিক্ষক রাবেয়া বেগম চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় তিনি এই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রাচীন প্রাইমারী স্কুলে সরকারীভাবে ৪জন অনুমোদিত শিক্ষক পদ থাকলেও ২০১২ সাল থেকে মাত্র দুইজন শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা শিক্ষক রাবেয়া বেগমের অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের ৭৮জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে হিমশিম খাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পাপিয়া পারভীন।
তিনি বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষে বিভিন্ন শিফটে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে যাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন বঞ্চিত হচ্ছে সঠিক পাঠদান থেকে, তেমনি একমাত্র শিক্ষক পাপিয়া পারভীনকে পোহাতে হচ্ছে নানান ভোগান্তি। এদিকে কুলাউড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মামুনুর রহমান বিদ্যালয়ে শেষ পরিদর্শণ করেন গত বছরের ২৫ মে। এরপর থেকে শিক্ষা অফিসের কোনো কর্মকর্তা এই বিদ্যালয় পরিদর্শণে যাননি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পাপিয়া পারভীন বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে আমি নিয়মিতভাবে একাই মাসের পর মাস দায়িত্ব পালন করেছি। এরমধ্যে ২০১৫ সালে উপজেলার সুলতান পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার বদলী অর্ডার আসলেও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং এলাকাবাসীর অনুরোধে আমি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন জানান, আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর এই বিদ্যালয়ে কুলাউড়া শিক্ষা অফিসের কোন কর্মকর্তাকে আসতে দেখিনি। আমরা শিক্ষক নিয়োগের জন্য বার বার কুলাউড়া শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন করেছি। কিন্তুু এখন পর্যন্ত তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আইয়ুব উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমি জেনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ওই এলাকার পাশ্ববর্তী বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে মৌখিকভাবে পাঠদান করার অনুমতি দিয়েছি। স্থায়ী ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে আগামী বছরের জানুয়ারী-মার্চ মাসে ওই বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে একটি আবেদন পাঠিয়েছি।
Posted ৭:৪৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.