
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলার মনসুর মোহাম্মদীয়া মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে এক হল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে আলিম পরীক্ষার্থীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে রাতের আধারে কেন্দ্র সচিবের পায়ে ধরে মাফ চেয়ে এবং পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে মৌখিকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তাছাড়া সোমবার ২৯ এপ্রিল থেকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে মৌখিকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, গত শনিবার ২৭ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার বালাগাত মানতিক বিষয়ের পরীক্ষা ছিলো। ওইদিন পরীক্ষা কেন্দ্রের ৭নং কক্ষে হল পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন রবিরবাজার ডিএডি মাদারাসার মাওলানা মো. মখলিছুর রহমান। তিনি ওই কক্ষে পরীক্ষা চলাকালে এক ছাত্রীর কাছে অযাচিতভাবে যান এবং উত্তর বলে দেয়ার ছলে শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানী করেন। ঘটনার দিন শিক্ষার্থী বাড়িতে ফিরে অভিভাবকের কাছে বিষয়টি জানায়। পরদিন রোববার ২৮ এপ্রিল মনসুর মাদরাসার সুপারের ভাইকে বিষয়টি অবগত করা হয়। ভাইয়ের মাধ্যমে কেন্দ্র সচিব বিষয়টি অবগত হন। কেন্দ্র সচিব বিষয়টি রবিরবাজার মাদরাসা সুপারকে অবহিত করেন। দু’সুপারের পরামর্শে রাতে অভিযুক্ত হল পরিদর্শক মাওলানা মো. মখলিছুর রহমান কেন্দ্র সচিবের পায়ে ধরে মাফ চান। সোমবার ২৯ এপ্রিল থেকে মৌখিকভাবে হল পরিদর্শনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
ওই পরীক্ষার্থী ও তাঁর পরিবার মান সম্মানের ভয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানান। তবে উক্ত ঘটনায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর পরিবার। শুধু পরীক্ষার্থীর পরিবার নয় ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মনসুর মোহাম্মদীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মুন্তাজিম জানান, আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি তবে ঘটনাটা শুনে আমরা এই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। কেউ অভিযোগ না দিলে কিভাবে জানলেন এবং কেনো অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হল জানতে চাইলে?-তিনি বলেন, এমনি এমনি কানাঘুষায় শুনেছি তাই আমরা উনাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মাওলানা মো. মখলিছুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি পরীক্ষার হলে একটু কড়াকড়ি করেছিলাম তাই এমনটা বলছে। মাদারাসার শিক্ষার সম্মার্থে এ নিয়ে নিউজ না করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমি আপনার সাথে দেখা করবো।
মনসুর মোহাম্মদীয় মাদরাসার সুপার ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা মো. আব্দুল মুন্তাকিম বিষয়টি প্রথমে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এব্যাপারে আমাকে কেউ লিখিত আকারে অভিযোগ করেনি।
রবিরবাজার ডিএডি মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নবাব আলী নকী খান জানান, সুপার এব্যাপারে আমাকে কিছু বলেননি। যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
Posted ১০:৩৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.