
শরীফ আহমেদ,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭ | প্রিন্ট
জেলার কুলাউড়ার অটোরিকশা চালক আসাদ আলী (১৯) হত্যার ঘটনার দেড় মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আসামী গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আসাদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হলেও পুলিশ তাদেরকে শুধু আশা দিয়েই সময় পার করছে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এখন পুরো উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাশাপাশি তার পরিবারের লোকজন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন।
জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৭টার দিকে অটোরিকশা চালক আসাদ আলী নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে সারাদিন বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির করে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজের ৪দিন পর ৪ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের লংলা চা বাগানের লালপুর কাটাবিল এলাকা থেকে তার গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বিনয় ভূষণ রায় ঘটনাস্থলে সরেজমিন উপস্থিত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন এসে তার লাশ সনাক্ত করেন।
নিহত আসাদের খালাতো ভাই এ.আর মামুন ১৫ অক্টোবর (রোববার) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিয়ত পুলিশের কাছে জানতে চাচ্ছি হত্যাকান্ডের দেড় মাস পার হলেও জড়িত কাউকে কেন গ্রেপ্তার করতে পারছেন না, পুলিশ শুধু সময়ই চাচ্ছে আর ধরবে ধরবে বলছে। কিন্তু পুলিশ বলছে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে,তাহলে কেন গ্রেপ্তার করছে না।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মূসা জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে শিগ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গোপনীয়তা রক্ষা করে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, হত্যাকান্ডের স্বীকার অটোরিকশা চালক আসাদ উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামের উম্মর আলীর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলে।
Posted ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.