
জসীম চৌধুরী,সংবাদমেইল২৪.কম | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭ | প্রিন্ট
ফটো:- পানিতে নিমজ্জিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার,ছবিটি উপজেলার ভুকশিমইল থেকে তুলা।
কুলাউড়া উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎলাইন ও বন্যার পানিতে ডুবন্ত প্রায় টান্সফরমার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কখন যে তার ছিড়ে পানিতে পড়ে অথবা ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
এলাকাবাসী বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে অবগত করলেও তারা রহস্যময় কারণে উদাসিন।
সরেজমনি পৌরসভার সোনাপুর, বিহাল, দেখিয়ারপুর ও সাদেকপুর এলাকা পরিদর্শণ করে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিভাগের বেশিরভাগ লাইন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁশের খুঁটিতে টানানো এসব লাইন বাতাসে যেকোন সময় ছিড়ে পানিতে পড়তে পারে। এতে পানিতে বিদ্যুতায়ন ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই চিত্র কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নে।
মুলত বিদ্যুৎ বিভাগ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে লাইন সম্প্রসারণ করার নামে এসব বাঁশের খুঁটি দিয়ে মেইন লাইন থেকে মানুষের ঘর পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন টেনেছে। ৩-৪ খুঁটি পর্যন্ত বাঁশের খুঁটিতে এসব ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন এখন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের কাছে আতঙ্কের।
জাব্দা গ্রামের চিনু মিয়া, কুটি মিয়া, আবুল মিয়া, ফজলু মিয়া জানান, এসব ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইনগুলো বন্যার পানি থেকে ৩-৪ ফুট উচুতে অবস্থান। নৌকা নিয়ে চলাচলের সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিষয়টি আমরা বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
ঝুঁকিপূর্ণ ও বাঁশের খুটিতে একাধিক বৈদ্যুতিক লাইন টানানো রয়েছে কুলাউড়া উপজেলার সদর, কাদিপুর ও জয়চন্ডী ইউনিয়নে। কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের বিষয়টি অবগত থাকলেও তা পরিবর্তণে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ঝুঁকিপূর্ণ লাইন ছাড়াও ভুকশিমইল ইউনিয়নের পালোমুরা নামক স্থানে এবং ভুকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের পাশে দু’টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার রয়েছে ঝুঁকিতে। বন্যার পানিতে অর্ধেকটা তলিয়ে যায়। ফলে যেকোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এব্যাপারে কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান জানান, নতুন প্রজেক্ট ওগুলো জরিপ করেছে। তবে এখনও ওয়ার্ক ওর্ডার হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রজেক্টের মাধ্যমে সকল ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যূৎ লাইন পরিবর্তণ করা হবে।
সংবাদমেইল২৪.কম/এনআই
Posted ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.