
মোঃ মানজুরুল হক,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
সম্প্রতি ভারত সরকার ৫শ ও এক হাজার রুপির কাগুজে নোট বাতিল করায় প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে। মুদ্রা বাতিলে ভারতে বাংলাদেশি টাকা ও ইউএসএ ডলারের মানও কমে যাওয়ায় ভারতের উত্তর ত্রিপুরা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশি পণ্য নিতে এলসি করতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এলসি করতে না পারায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের মাধ্যমে টিটি ও এলসি করতে পারছেন না। ফলে এ শুল্ক স্টেশনে গত ১২ দিন ধরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সরেজমিন কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এখানে নেই কোনো পণ্যবাহী পরিবহনের লাইন। শুল্ক স্টেশনের শ্রমিকরা অলস বসে সময় পার করছেন। দুই সপ্তাহ আগেও এখানে প্রাণ আরএফ এল সামগ্রী, বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্টবাহী ট্রাক, মাছবাহী কার্গোসহ বাংলাদেশি পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকতো। এখন চার দিনে একবার সামান্য পণ্য যাচ্ছে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাসহরে।
এদিকে, চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের ভারতীয় অংশে অবস্থানরত আমদানি রপ্তানিকারক আব্দুল মুহিত মিটন, গৌরা অধিকারী, ওয়াহিদুজ্জামান সংবাদমেইলকে জানান, ভারতীয় মুদ্রা বাতিলে ব্যাংক থেকে কোনো টাকা উত্তোলন করতে পারছে না না বলে এলসি ও টিটিও করতে পারছেন না। ব্যাংকে এক লাখ টাকার চাহিদা দিলে ব্যাংক মাত্র দুই হাজার টাকা দিতে চায়। ফলে এলসির মাধ্যমে বাংলাদেশে কোনো পণ্যের চাহিদাও দিতে পারছেন না।
বাংলাদেশ অংশে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন এলাকায় অবস্থানরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সাইফুর রহমান রিমন, ইমরান আহমেদ ও সোহেল আহমদ সংবাদমেইলকে জানান, আগে ভারতে বাংলাদেশি ১শ টাকার নোটের বিনিময়ে ভারতীয় ৮২ টাকা পাওয়া যেত। গত দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশি ১শ টাকার বিনিময়ে ৭০ টাকা পাওয়া যায়।
আমেরিকান ডলারেরও মান কমে গেছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে কোনো সামগ্রী রপ্তানি করতে পারছেন না। এমনকি ভারত থেকে সাতকরা, ভাঙা কাঁচ ও কলাসহ পণ্য আমদানিও করতে পারছেন না। আগে প্রতিদিন কোনো না কোন কোম্পানির ৪ থেকে ৫ ট্রাক পণ্য এ পথে ভারত রপ্তানি হতো। এখন চারদিনে একবার হচ্ছে মাত্র।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান সংবাদমেইলকে জানান, কিছুদিন আগেও সীমান্তে শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি ভালোই হয়েছিল। হঠাৎ করে মুদ্রা বাতিলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের টিটি ও এলসি দিতে পারছে না বলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএ/এনএস
Posted ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.