কানাডায় আগামী সোমবার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে। এসব ফলাফল ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি অব কানাডার জন্য এক ধরনের অশনিসংকেতই বলতে হবে। নির্বাচনের আগে নিজের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তাই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে প্রগতিশীল ভোটারদের সমর্থন চেয়েছেন তিনি।
জরিপ বলছে, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এরিন ওটুল এবং ট্রুডোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যেই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচনে কমসংখ্যক মানুষ ভোট দেবেন। এমনটি হলে এর পূর্ণ সুবিধা পাবেন কনজারভেটিভরা। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও এনডিটিভির।
নির্বাচনী প্রচারে গত শুক্রবার অন্টারিওর উইন্ডসরে একটি সভায় যোগ দেন ট্রুডো। সেখানে তিনি বলেন, ‘করোনাকাল নির্বাচনের জন্য অনুকূল সময় নয়। তার পরও আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।’ এ সময় তাকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ট্রুডো বলেন, ‘এই সময়ে অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। আমরা সবাই আসলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাচ্ছি। কিন্তু এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। এখন সময় নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে বেছে নেওয়ার। এখন সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে করোনা মহামারির ইতি টানতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে হবে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে হবে।’ আর এজন্য তার রাজনৈতিক দলের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে উইন্ডসরে ট্রুডো যখন নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন সভাস্থলের বাইরে করোনার টিকাবিরোধীরা সমাবেশ করছিলেন।
কানাডায় সর্বশেষ ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দল পপুলার ভোট ও শতাংশের হিসাবে কম ভোট পেলেও তাদের আসনসংখ্যা বেশি ছিল। ফলে সরকার গঠন করে তারা। এরপর গত ১৫ আগস্ট আগাম নির্বাচনের ডাক দেন ট্রুডো। তার ইচ্ছা ছিল, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, বর্তমানে ট্রুডোর দলের জনপ্রিয়তা ৩২ এবং কনজারভেটিভদের ৩১ শতাংশ।
Comments
comments
Posted ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam