
ইমরান আহমদ,রাজনগর,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ০৫ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
রাজনগর উপজেলার কওয়াদীঘি হাওরের ধান দুই হাজার একরেরও বেশি ধান তলিয়ে গেছে পানির নিচে। গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষন ও উজান ধেকে নেমে আসা পানিতে হাওরের ২ হাজার একরেরও বেশি ধান তলিয়ে গেছে।
এদিকে কাশিমপুর পাম্প হাউজ নিয়মিত পানি সেচ না দেয়ায় এ পরিনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। পানি সেচ দিলে কাওয়াদীঘি হাওরের ধান বাচানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কাউয়াদীঘি হাওরসহ এবছর রাজনগর উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি আবাদ করা হয়েছে। হাওরের ধান সবে মাত্র থুর দিয়েছে। এরই মাঝে গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার হাওরের নিন্মাঞ্চলের ধান তলিয়ে যায়। কাশিমপুর পাম্প হাউজ পানি মাঝে মাঝে পানি সেচ দিলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে নিয়মিত সেচ দিতে পারছে না। এতে হাওরে পানি জমে তলিয়ে গেছে হাওরের ২ হাজার একরেরও বেশি ধান।
এদিকে তিনটি পাম্প সচল থাকলেও হাওরের পানি নির্ধারিত পয়েন্টে না পৌঁছায় সেচ দিতে পারেনি পানিউন্নয়ন বোর্ড। পরে গত সোমবার ঢাকা থেকে একটি মেকানিক দল এসে আরো দুটি পাম্প সচল করে দেয়ায় মঙ্গলবার রাত থেকে সেচ দিতে পারছে। এতে পানি কমতে থাকলে ধান বাচানো সম্ভব হবে মনে করছেন কৃষি অফিসার।
ফতেহপুর ইউনিয়নে জাহিদপুর গ্রামের বেলাল আহমদ বলেন, আমি ১০ বিঘার মতো জমি রোপন করেছিলাম। ধানের থুর আসার পরই তলিয়ে গেল হাওরের পানিতে। আমিরপুর গ্রামের ওলিদ আহমদ বলেন, বৃষ্টির কারণে পানি হঠাৎ পাওয়ায় লামার হাওরের ধানগুলো তলিয়ে গেছে। এতে আমার ৩ বিঘ জমিও রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পানি উন্নয় বোর্ড নিয়মিত পানি সেচ দিলে কাউয়াদীঘি হাওরের ধানের ক্ষতি হওয়ার কোন কারন ছিলনা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মো. আজিজুর রহমান বলেন, কাউয়াদীঘি হাওরে বুরো আবাদ হয় বেশি। প্রবল বর্ষনে রাজনগর উপজেলার দুই হাজারেরও বেশি জমি তলিয়ে গেছে। কাশিমপুরে এখন ৫টি পাম্প সচল আছে। নিয়মিত বিদ্যুৎ পেলে দ্রুত পানি সেচ দেয়া যাবে। এছাড়াও তলিয়ে যাওয়া ধানের তেমন ক্ষতি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সংবাদমেইল২৪.কম/এন আই
Posted ৭:২৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৫ এপ্রিল ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.