
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বহিষ্কারাদেশ এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে, ১৩ এপ্রিল অভিযোগ তদন্ত শেষে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ছাত্রলীগ।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগে এশাকে সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ১০ এপ্রিল দিনগত গভীর রাতে।
এরপর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল শাখার সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ৮, ৯ ও ১০ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সুফিয়া কামাল হল থেকে তিন শতাধিক ছাত্রী অংশ নেন। ১০ এপ্রিল রাতে ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা ও তার অনুসারীরা অর্ধশতাধিক ছাত্রীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুর্শেদা খানমকেও মারধর ও রক্তাক্ত করে।
তবে ছাত্রলীগের দাবি, ১০ এপ্রিল রাতে এশা, মুর্শেদাসহ আরো কয়েকজন একই রুমে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন পাশে এক মেয়ের চিৎকারে উত্তেজিত হয়ে মুর্শেদা দরজায় লাথি দিলে তাঁর পা কেটে যায়। মুর্শেদার কাটা পায়ের ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দাবি করা হয়, ছাত্রলীগ নেত্রী এশা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন।
এরপর ওই রাতেই সুফিয়া কামাল হলে এশার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের একাংশসহ সাধারণ ছাত্রীরা। রগ কাটার গুজবে গভীর রাতেই বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে সুফিয়া কামাল হলের সামনে জড়ো হয়। তারা এশার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বিক্ষোভের মুখে এশা উপস্থিত ছাত্রীদের উদ্দেশে হ্যান্ড মাইকে বলেন, ‘আমি ভুল করেছি।’
এরপর হলের প্রাধ্যক্ষ ও হাউস টিউটররা অনেক চেষ্টা করেও ছাত্রীদের শান্ত করতে পারেননি। বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা তাদের সামনেই এশার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়।
এদিকে মুর্শেদার রক্তাক্ত ছবি ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে সেই রাতে এশাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামানও এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
Posted ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.