ইতোমধ্যে ৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক হয়ে গেছেন। আজ ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ২২তম ম্যাচ জেতার সুযোগ। সবচেয়ে বড় কথা, আজ তিনি বাংলাদেশকে এনে দিতে পারেন শততম জয়টা। এই মাহেন্দ্রক্ষণের আগে গত ম্যাচ ও আজকের ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা—
প্রথম ম্যাচে কি আফগানিস্তানের বোলাররা বেশি ভালো বল করেছে, নাকি আমরা যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারিনি?
অবশ্যই আফগানিস্তানের বোলাররা ভালো বোলিং করেছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারছিল না তা না। সেট হয়ে তামিম, ইমরুল, রিয়াদ ও সাকিব আউট হয়েছে। একটা বড় স্কোর হতে হলে দুজনকে বড় ইনিংস খেলতে হয়। সেখানে আমাদের চারজন শুরু করেও বড় স্কোর করতে পারেনি। আমাদের ২৮০, ২৯০ ইভেন ৩০০ করারও সুযোগ ছিল। সো সেট হয়ে আউট হয়ে যাওয়াতে সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের শততম ওয়ানডে জয়টা এসে যেতে পারে কালই (আজ)। এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকতে পারাটা কত বড় ব্যাপার?
কেউ না কেউ তো দায়িত্বে থাকতই। বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হবে। আমরা চেষ্টা করব দ্বিতীয় ম্যাচেই যেন সেটা হয়। এজন্য আমাদেরকে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে বাড়তি চাপ থাকে, সেটা কি একটু কমেছে বলে মনে হয়?
অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড যখন আমাদের সঙ্গে খেলে তখন ওদের বাড়তি চাপ থাকে। খুবই স্বাভাবিক। শেষ ম্যাচে যেটা ভালো লেগেছে; ম্যাচটা অলমোস্ট ৯০ ভাগ ওদের কাছে ছিল। ওখান থেকে ফিরে এসে ম্যাচ জেতা একটা একটা ‘চরিত্র’। এই চরিত্রটা বিল্ড করতে পারলে হবে কি বড় ম্যাচেও আমরা ধারাবাহিক থাকলে ভালো হবে।
বলা হচ্ছিল, প্রথম ম্যাচটাই মূল পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা তো পার হয়ে গেছেন।
সত্যি কথা খেলার মধ্যে থাকলেও প্রথম ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে বের হয়ে যেতে পারলে অনেক ফ্রি থাকা যায়। আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে বড় কিছু না হলেও একটা কঠিন পার্ট চলে গেছে। খেলার কথা বলা যায় না। আশা করি সামনের ম্যাচে এ ম্যাচ থেকে মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকব।
আপনার পারফরম্যান্সটা একটু আড়ালে চলে গেলেও প্রথম ম্যাচে দারুণ বল করেছেন…
আমি সব সময় চেষ্টা করি একটা জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল করে যেতে। এখন মডার্ন ক্রিকেট যেটা হয়েছে, জায়গায় বল করলেও ব্যাটসম্যানরা চার্জ করে। তারপরও আমি মনে করি ধারাবাহিকভাবে আপনি সফলতা পাবেন যদি এক জায়গায় বল করে যেতে পারেন। আমি সব সময় ওটা ফোকাস করি। আর ভাগ্য অবশ্যই দরকার আছে। আগের দিন ওদের রান ছয় করে লাগত। এরপর ৩০ ওভারের পর আমি আর সাকিব বোলিংয়ে আাাসি। লাকিলি আমরা সাতে রান নিয়ে যেতে পেরেছি।
ক্যাপ্টেনসি করা, বোলিং করা, দল সামলানো; অনেক জটিল হয়ে যায় ব্যাপারটা?
আসলে আমি এত জটিল করে নেই না। আমি আমার কাজ বোলিং ও সিদ্ধান্তগুলো স্বাভাবিক নেওয়ার চেষ্টা করি। এ দুটোতেই আমার ফোকাস থাকে। আলাদা আলাদা করে প্রতিটি কাজ করার চেষ্টা করি। এটা আসলে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এক-দুই বছর অধিনায়কত্ব করছি। আগের থেকে রিল্যাক্স থাকতে হয়।
ওরা যখন বড় জুটি করে ফেলছিল, তখন কি অন্য বোলিং অপশনগুলো কাজে লাগানো যেত?
বোলিং অপশন… আমাদের রুম্মান, রিয়াদ ছিল। যখন আসকিং রেট ছয়ের নীচে থাকবে। তখন মূল বোলার ছাড়া অন্য বোলারকে ব্যবহার করা কঠিন। ৬ করে লাগবে… উইকেট লাগবে। রিয়াদ রেগুলার স্পিনার হলেও আমি পাঁচজন বোলারকে নিয়ে ট্রাই করেছি। রিয়াদকে দিয়েও বোলিং করিয়েছি। মনে করি না বোলার শর্ট ছিল। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী হয়তো ওদেরকে আনা হয়নি। কোনো পর্যায়ে হয়তো ভাবছিলাম সাব্বিরকে আনব। কিন্তু তারপরও ঝুঁকি নেই। কারণ জানতাম একটা-দুটা উইকেট ম্যাচ পরিবর্তন করে দেবে। লাকিলি ম্যাচ আমাদের পক্ষে এসেছে। এজন্য বাড়তি ঝুঁকি নেইনি।
Comments
comments