যুক্তরাষ্ট্র সংবাদদাতা: | রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
স্বপ্ন। তবে সে স্বপ্নে নিজেকে নিয়ে যতটা, তার চেয়ে অনেক বেশি আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের নিয়ে।
সামাদের ভাবনায়, স্বপ্নে আছে একদিন আমেরিকার সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিশাল সব পদগুলো দখল করে থাকবেন বাংলাদেশীরা। চালাবেন বোয়িং,অথবা যুদ্ধ বিমান।
বাংলাদেশী-আমেরিকানদের ভেতর থেকেই একদিন এসেম্বলিম্যান হবেন, হবেন সিনেটর, কংগ্রেসম্যান, হবেন মন্ত্রী। একদিন হোয়াইট হাউসও পরিচালনা করবেন বাংলাদেশীদের সন্তানরা। কারণ বারাক ওবামা অন্যদেশের নাগরিক হয়েও আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে পেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউস শাসন করেছেন। তিনি আমাদের পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশীদের সন্তানরাও সে পথ অনুসরণ করে একদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আসনে অধিষ্টিত হবেন। সে স্বপ্ন আমরা দেখতে পারি। আমার বিশ্বাস আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মরা তা পারবে।
প্রবাসীদের কল্যাণে অনেক কিছুই করার ইচ্ছা সামাদ মিয়ার। তার চাওয়ার মধ্যে রয়েছেÑ সবগুলো ষ্টেইটে বাংলা স্কুল চালু করার। নতুন জেনারেশন বিনামূল্যে লিখতে ও পড়তে পারুক বাংলায়। সিটির সঙ্গে কথা বলে ফ্রি লাঞ্চের ব্যবস্থা যাতে করা যায় সে বিষয়েই তৎপরতা দেখাতে চান তিনি। স্বপ্ন দেখেন একদিন সব বরোতে বাংলাদেশ সোসাইটির একটা করে অফিস হবে। সেখানে থাকবে মেডিকেইড সেবার তথ্য ও সহযোগিতা, চাকরি, ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা। এখানে বসবাসরতদের সিটি যে সব সুযোগ সুবিধা দেয় তার পুরোটাই যেন বাংলাদেশীরা পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে চান তিনি। প্রবীণ বাংলাদেশীসহ সবার জন্য করতে চান রিক্রিয়েশন ক্লাব। শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয়, আত্মিক, আধাত্মিক চর্চা কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, প্রবাসে বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি। সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশীদের বহুমুখী সেবা দিয়ে থাকে বাংলাদেশ এ সোসাইটি।
আগামী ২১ অক্টোবর বহুল পরিচিত এই সংগঠনের নির্বাচন। আমেরিকা বাংলাদেশ সোসাইটি (ইনক)‘র নির্বাচনে নয়ন-আলী পরিষদ থেকে তিনি স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক পদ প্রার্থী হয়েছেনে। নির্বাচন ঘিরে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি এলাকায় এখন সরগরম। দুটি প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে প্রার্থী সংখ্যা ৪১ জন।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের সন্তান সামাদ মিয়া তিনি বসবাস করেন ব্রঙ্কসের স্টার্লিং এলাকায়। তবে ব্রঙ্কস, কুইন্স, ম্যানহাটন, ওজনপার্ক, ব্রুকলিন, স্ট্যাটেন আইল্যান্ড, সবখানেই রয়েছে সামাদ মিয়ার ব্যক্তিগত পরিচিতি। কমিউনিটি নেতা, সমাজকর্মী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে রয়েছে সুসম্পর্কা। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সহ সভাপতি ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশন অব আমেরিকা ইনক এর সহ সাধারন সম্পাদক। সিলেট এমসি কলেজ এলমনাই এসাসিয়েশন এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সদস্য। শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তিনি। ১১ বছর কাজ করেছেন নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে।
বর্তমানে মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটিতে কর্মরত সামাদ মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে ১ ছেলে ২ মেয়ের জনক। স্ত্রী সালমা এ চৌধুরী নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে ৯১১ সার্ভিসে কাজ করেন। অবসরে তিনি ক্রিকেট,ফুটবল,বাস্কেটবল খেলতে ভালোবাসেন। ভ্রমন করতে ভালোবাসেন।
তিনি আগামী ২১ অক্টোবর বহুল পরিচিত এই সংগঠনের নির্বাচনে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Posted ৭:৫০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.