
জিয়াউল হক,স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন একটি শিশুকে ডিজাইন দেখাচ্ছেন ইসমাইল গণি হিমন
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলা নববর্ষ । চিরাচায়িত বাঙ্গালির ইতিহাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, লোকজ আবহ বহন করে পহেলা বৈশাখ। আর বাঙ্গালি জাতি এ দিনটাকে মহা আযোজনে পালন করে। সারা দেশে জোর প্রস্তুতি চলছে নববর্ষকে বরণ করার। তারই ধারাবাহিকতায় সিলেট আর্ট এন্ড অটিস্টিক স্কুলের অর্টিজম শিশুরা নববর্ষ আরো রঙ্গিন ও আনন্দময় করতে নিজেদের মায়েদের জন্য তৈরি করছে বৈশাখি শাড়ী ও বাবাদের জন্য পাঞ্চাবি, টি-শার্ট। নিজরে ছেলেমেয়েদের ডিজাইন করা শাড়ি ও পাঞ্চাবি পহেলা বৈশাখে পড়বনে মা-বাবারা।
সিলেট নগরীর কুমারপাড়ার সিলেট আর্ট এন্ড অর্টিস্টিক স্কুলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আপন মনে শাড়ীতে রং মেশাচ্ছে স্কুলের ১২ অর্টিজম শিুশু।
নববর্ষ উপলক্ষে ‘আগামীর আকাশে উড়াবো নতুন ঘুড়ি শ্লোগানে সিলেট আর্ট এন্ড অটিস্টিক স্কুলরে উদ্যোগে ২২জন অটিস্টিক শিশুদের আঁকা ছবি নিয়ে চলছে ১২ দিন ব্যাপি শিশু চারুকলা উৎসব ২০১৭। উৎসবে রয়েছে চিত্রাংকণ, চিত্র প্রর্দশনী, শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রর্দশনি, কারুকাজ প্রদর্শনি। এ উৎসব চলবে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত। নানা বৈচিত্রে আঁকা ওই সকল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেও আঁকা ছবি নিয়ে সাজানো চিত্র প্রদর্শনির চিত্রকর্মও গুলো যে কারো মন কড়বে। দেখে মনেই হবে না যে চিত্রকর্ম নগুলো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাচ্চাদের আঁকা।
প্রতিষ্ঠানটির সদস্য সচবি ইসমাইল গণি হিমন সংবাদমেইল টোয়েন্টিফোর ডট কমকে জানান, প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে সিলেট আর্ট এন্ড অটিস্টিক স্কুল নতুন কিছু করতে চায়। তারি ন্যায় এবারের নববর্ষে ১২জন অর্টিজম শিশুরা তাদের মায়াবী হাতের পরশে মমতার সহিত নিজের মা-বাবাদের জন্য শাড়ী ও পাঞ্চাবি ডিজাইন করছে। তৈরি এ সব পোষাক পয়ে নববর্সেও দিন বৈশাখের সকল আয়োনে ডিজাইনারদের নিয়ে ঘুরবেন। এমন কি নিজের বি্েযশষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানের তৈরি উপহারের কথা জেনে আনন্দিত হবেন।
তিনি আরো জানান, এবারের নববর্ষে সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ারের বানানো শুভচ্ছো কার্ডেও স্থান পেয়েছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন লাবিব ইবনে আজিজের আঁকা চিত্রকর্ম।
লাবিবের বাবা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক সারোয়ার আকরাম আজিজ সংবাদমেইল টোয়ন্টেেিফার ডট কমকে বলনে, এ ধরণের শিশু সবার মাঝেই কিছু প্রতিভা লুকায়তি থাকে। তাদের অভজ্ঞা না করে প্রতিভা গুলো আমদের খুঁজে বের করতে হবে। বুঝতে হবে তাঁরা কি চায়। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে ওরাও পারবে বিশ^কে জয় করতে। তাই, আমার মতো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর যারা অভিবাবক আছেন, চেষ্টা করে যেতে হবে, হাল ছেড়ে দিলে হবে না।
সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার জানান, আমার মনে হয়েছে, এসব বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। তাই আমি তাদের পাশে দাঁড়ানোর
চেষ্টা করেছি। আমি নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর রাখি। তারা ভীষণ মেধাবী, প্রয়োজন কেবল সহযোগতিার হাত বাড়িয়ে দেয়া।
Posted ৬:১৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.