জিয়াউল হক,সংবাদমেইল২৪.কম | | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | প্রিন্ট
সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশের আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সঙ্গে ওইসব সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে চলছেই। প্রায় দিনই এসব সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ যাচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকার নিরীহ মানুষের। উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে অপরাধীরা যাতে সীমান্ত পথে ভারতে যেতে না পারে এ জন্য মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা ও দর্শনীয় স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা-টহল জোরদার করে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ মহড়া দিচ্ছে করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, চোরাচালানের সাথে জড়িত অপরাধীদের তালিকা করে তাদেরকে ধরতে জেলার সীমান্তবর্তী কুলাউড়া জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত চাতলাপুর, আলীনগর, মুড়ইচড়া ফুলতলার বিঠুলী,রাজকী,বোবারতল সীমান্ত এলাকায় গভীর রাতে বিজিবি সদস্যদের কড়া নজরধারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার সড়কের পাশে ঝোপঝাড় গাছপালা কেটে পরিষ্কার করে হয়েছে। যেসব রুট চোরাকারবারিরা ব্যবহার করে ওইসব স্পট বন্ধ করে রাতের আধারে সেখানে চেকপোষ্ট বসিয়ে বিজিবির সদস্যরা পাহারা দিতে থাকেন। পাশাপাশি সীমান্তের ১২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি সীমান্তবর্তী কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর এলাকার এক যুবককে ইয়াসিন মিয়া পিটিয়ে হত্যা,জুড়ীর ফুলতলা সীমান্তে অবাধে অনুপ্রবেশসহ আরো বড় বড় গঠনা ও ভারত থেকে অবৈধ নেশাদ্রব্য ও অ¯্র বাংলাদেশে ডুকছে। দীর্ঘদিন থেকে এ নিয়ে স্থানীয়রা উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করলে অবশেষে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সীমান্ত এলাকায় এ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সরেজমিন সীমান্ত এলাকা ঘুরে জানা যায়, পর্দার আডালের এসব গডফাদারের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ বলে অভিযোগ এই সীমান্তে অবস্থানরত বিজিবি ফাঁড়ির কতিপয় সদস্যের। অন্যদিকে যদিও বিএসএফের সঙ্গে গডফাদাররা আগে থেকে যোগাযোগ করে নিরীহ মানুষগুলোকে রাতের আঁধারে গরু আনার জন্য পাঠায় সীমান্তের ওপারে ভারতে। অভাবের তাড়নায় সীমান্ত এলাকার কিছু নিরীহ মানুষ মাত্র ৫০০ থেকে হাজার টাকার বিনিময়ে ভারত থেকে গরু বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে আসার দায়িত্বে থেকে পড়েন মহাবিপদে। যদিও বিএসএফ ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে গডফাদাররা আগে থেকে যোগাযোগ করে নিরীহ মানুষগুলোকে রাতের আঁধারে গরু আনার জন্য পাঠায় সীমান্তের ওপারে ভারতে। আর গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়।
কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী আলীনগরের বাসিন্দা বলেন, সরকারিভাবে সীমান্ত এলাকার মানুষগুলোকে কম সুদে ঋণের ব্যবস্থাসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মানুষ চোরাকারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকন্ড থেকে বিরত থাকতে পারে।
এদিকে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির অভিযানে স্থানীয় অনেক অসহায় কৃষক ও দিনমজুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কুলাউড়া সীমান্ত এলাকার এক কৃষক নাম প্রকাশ না করে বলনে তার পালিত গরু নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে ভারতীয় চোরাই গরু সন্দেহ করে বিজিবি সদস্যরা গরু ধরে নিয়ে গেছে। ওই কৃষক তার গরু ফেরত পেতে স্থানীয় প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরছেন।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল মোহাম্মদ আখতার ইকবাল (পিএসসি) জানান, সীমান্তে বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ও অপরাধীদের ধরতে সীমান্তবর্তী এলাকায় আগের চেয়ে আরো টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশেষ অভিযান আব্যাহত থাকবে।
সংবাদমেইল/এসএ/এনএস
Posted ২:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.