স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
রেলসেতুতে বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও দুর্ঘটনার শঙ্কা প্রকাশ করা হলেও অবশেষে তার বৈধতা দিল রেল মন্ত্রণালয়। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাঁশের সম্মান বাঁচানো হলো। বলা হলো- রেলসেতুতে বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই, দুর্ঘটনারও অবকাশ নেই।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, কুড়িগ্রামে রেললাইনে কাঠের স্লিপারের ওপর লোহার পাতের পরিবর্তে বাঁশের ফালি লাগানো হয়েছে। আর স্লিপার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের গুঁড়ি।
এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য- “রেলসেতুর ওপর স্থাপিত কাঠের স্লিপার যাতে আউট অব স্কয়ার না হয় এবং একত্রে জমা হতে না পারে, এ জন্য কোনো কোনো রেল সেতুতে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয়ভাবে বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ট্রেনের ভার বহনে কোনো ভূমিকা রাখে না এবং শুধু স্লিপারগুলোর আউট অব স্কয়ার এবং একত্রে জমা হওয়ার প্রবণতা রোধ করে।”
ব্যবহৃত বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ সেতুর মূল কাঠামোর অংশ নয়। আর তাই ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে না বলেও দাবি করেছে মন্ত্রণালয়।
সোমবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে নতুন কোচের একটি ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, “রেলপথের সেতুর পাটাতনে বাঁশের ব্যবহার নতুন নয়। এ নিয়ে খবর প্রকাশের ফলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।”
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে চুয়াডাঙ্গায় কৃষি বিভাগের একটি ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের খবর জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়ের পর ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
চয়াডাঙ্গার ঘটনার পর জানা যায়, পাবনায় প্রায় ২৩ বছর আগে নির্মিত একটি স্কুল ভবন নির্মাণের সময়ও রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে।
শুধু কুড়িগ্রামেই রেললাইনে বাঁশ ব্যবহার করা হয়নি। গণমাধ্যমে খবর এসেছে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতুর স্লিপারের জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের ফালি। আর এর কার্যকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী রেল কর্তৃপক্ষ। বাঁশের পক্ষেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যার প্রমাণ দিল রেল মন্ত্রণালয়।
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএ/এনএস
Posted ৮:৫৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.