স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
ছবি: গ্রেফতারকৃত কম্পিউটার ব্যবসায়ী কামরুল জামান ওরফে সুমন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সই জাল করে জমির ভুয়া পরচা তৈরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
(২৬ জুলাই) বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা শহরের উত্তর বাজার এলাকায় অবস্থিত পৌর মার্কেট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম কামরুল জামান ওরফে সুমন (৩০)। তাঁর বাড়ি কুলাউড়া পৌর শহরের উত্তর কুলাউড়া এলাকায়। পৌর মার্কেটে তাঁর ‘সুমন কম্পিউটার্স’ নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও সহকারী কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিপন বকস নামের উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের খাঁরপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা সম্প্রতি একই এলাকার লিটন নামের এক দলিল লেখকের মাধ্যমে তাঁর (সিপন বকস) জমির পরচা সংগ্রহ করেন। ২৫ জুলাই যাচাইয়ের জন্য পরচাটি নিয়ে তিনি উপজেলার সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে যান। এ সময় পরচায় সহকারী কমিশনারের সই দেখে কার্যালয়ের কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, সিপনের আবেদন অনুযায়ী ১৯ জুলাই পরচা দেওয়ার কথা। অথচ সেটিতে তারিখ ২৪ এপ্রিল উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া পরচাটির সইয়ের সঙ্গে সহকারী কমিশনারের সইয়েরও কোনো মিল নেই। এতে পরচাটি জাল প্রমাণিত হয়। কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এটি ‘সুমন কম্পিউটার্স’ থেকে তৈরি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পান।
এর ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার সাদি উর রহমান জাদিদ নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে ওই দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় দোকানমালিক কামরুল জামানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। একই সঙ্গে জাল কাগজপত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। রাত আটটার দিকে সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ের প্রসেস সার্ভেয়ার সুফিয়ান মিয়া বাদী হয়ে কামরুলকে আসামি করে মামলা করেন।
সহকারী কমিশনার সাদি উর রহমান জাদিদ বলেন, অভিযান চালিয়ে কামরুলের কম্পিউটারে কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানের সই করা বেশ কিছু জন্ম, মৃত্যু ও নাগরিক সনদ পাওয়া গেছে। প্রতারণা করে মানুষকে এসব সনদ দেওয়া হতো। এ কাজে আর কারা জড়িত পুলিশকে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। এ কাজে দলিল লেখক লিটন তাঁর সহযোগী বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে লিটনের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি পালিয়েছেন। তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। কামরুলকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হবে।
Posted ৩:৪৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.