মঙ্গলবার ১৯ মার্চ, ২০২৪ | ৫ চৈত্র, ১৪৩০

সম্ভাবনার হাতছানি ফেলে

আব্দুল বাছিত বাচ্চু :- | বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০১৯ | প্রিন্ট  

সম্ভাবনার হাতছানি ফেলে

২০০১ সালে ঠিকানার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি জনাব এম এম শাহীন এমপি নির্বাচিত হন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে কাদিপুরে আমার শ্বশুরবাড়িতে এক বিয়েতে আসি। দেখা হয় উনার সাথে। কুলাউড়ার তৃণমূল মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য উনাকে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। নিজ এলাকার মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে ছেড়ে আসি শ্যামল সিলেট পত্রিকার সবচেয়ে লোভনীয় পদ বার্তা সম্পাদকের দ্বায়িত্ব। যেখানে ছিলো সম্মান আর সম্মানি।এছাড়া পত্রিকাটির সম্পাদক চৌধুরী মুমতাজ আহমদ (মম ভাই) ছিলেন আমার অতি আপনজন।

সিলেট শহরে মম ভাই শুধু একজন সাংবাদিক না যেনো জ্ঞানের ভান্ডার একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি বের করেন একুশ শতকের আঞ্চলিক দৈনিক শ্যামল সিলেট। শ্যামল সিলেট বের হয় ২০০১ সালে। আমি জুনিয়র রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেই এপ্রিল মাসে । তখন বার্তা সম্পাদক পদ খালি ছিলো। সহকর্মী নিরঞ্জন তালুকদার ছিলেন ডেস্ক ইনচার্জ। তিনি বিদায় নিলে ডেস্কে সিনিয়র অনেক থাকার পরও শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মম ভাই আমার উপর আস্তা রাখেন। আমাকে বার্তা সম্পাদক পদের দ্বায়িত্ব দেন। আমি সংকোচবোধ করলেও মম ভাই অনেকটা নির্দেশনা বলে দায়িত্ব নিতে বাধ্য করেন। পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে অনেক দায়িত্ব নিতে হয়। শুধু নিউজ এডিট করা না সার্কুলেশন, বিজ্ঞাপন, সংশোধন,কম্পোজ, পেইসস্টিং, প্রিন্ট, অনুবাদ সব শাখার কাজ তদারকি করতে হতো। বলা যায় পত্রিকা জগতে সম্পাদকের দায়িত্ব রাস্ট্রপতির মতো আর বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর মতো।


দুপুরে এসে নবীন রিপোর্টারদের দায়িত্ব দিয়ে জোহরের নামাজ পড়ে বাসায় যেতাম। রাতে এশার নামাজ পড়ে আবার বসতে হতো। সারারাত কাজ করে পত্রিকা ছাপাখানায় পাঠিয়ে ফজর পড়ে গিয়ে ঘুমাতে হতো। পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক মুজাহিদ শরীফ ,প্রকাশক নুরুজ্জামান মনি, মালিক / সভাপতি সামছুজ্জামান জামান,সিনিয়র রিপোর্টার মতিউল বারী চৌধুরী, আব্দুল আহাদ খান জামাল,চয়ন চৌধুরী, দেবাঞ্জন রায়, ফটোগ্রাফার প্রয়াত ইকবার মনসুর,সার্কুলেশন ম্যানেজার রশিদ ভাই,বিজ্ঞান ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম রতন, তহুর আহমদ শিব্বির,একাউন্টস অফিসার কালিপদ দাস, পেইস্টার সালাম ভাই, কম্পিউটার অপারেশন বিভাগের প্রধান মিজান ভাইসহ এরা প্রত্যেকেই আমাকে যারপরনেই স্নেহ / শ্রদ্ধা করতেন, ভালোবাসতেন।

সেখানে পর্যায়ক্রমে আমার ডানে বামে বসে কাজ করেছিলেন এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু, মো.ফখরুল ইসলাম,মনিকা দাস, সেলিনা তুলি, নাজমুল আলবাব, মো মঈন উদ্দিন, মুকিত রহমানী, ফয়সল আহমদ বাবলু, শাহ দিদার আলম চৌধুরী নোবেল, মনোয়ার জাহান চৌধুরী, দিপু সিদ্দিকী, ইমরান আহমেদ, জিল্লুর রহমান জয়,আবুল মোহাম্মদ প্রত্যেকেই এখন সিলেটের খ্যাতিমান সাংবাদিক। আমাদের টিম ওয়ার্ক ছিলো অন্য কাগজগুলোর হাউসে ঈর্ষনীয়। আমরা অতি অল্পসময়ে শ্যামল সিলেট কে সিলেট নগরীতে নিউজ মানের দিক থেকে প্রথম এবং প্রচার সংখ্যায় দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে যাই। এই সফলতায় সহকর্মীদের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার ঋণ শোধরাবার সাধ্য আমার নেই।


আর আমার সাংবাদিকতার হাত আরো শানিত হয়েছিলো মম ভাই আর মনি ভাইয়ের আদেশ নির্দেশ যুক্তি পরামর্শ স্নেহ ভালোবাসায়।এমন পরিস্থিতি ছেড়ে এলাকার টানে অনেকটা ছুটির কথা বলেই এসেছিলাম। সাহস হয়নি বলে আসতে পারিনি আমি যে আর যাবো না।আমার ছিলো না কোনো মোবাইল ফোন। এক সপ্তাহ পর মম ভাই লোক পাঠিয়ে জেনেছেন আসল ঘটনা। (চলবে)

লেখক:- সাংবাদিক ।
সাবেক সভাপতি, প্রেসক্লাব কুলাউড়া।
চেয়ারম্যান, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ।


Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ৪:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০১৯

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত