বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৭ | প্রিন্ট
রাখাইনে রীতিমতো মাইকিং করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সে কারণে মাঝখানে কয়েকদিন বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আসা কমে গেলেও আবার তা বেড়ে গেছে।
নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গারা বলছেন, তাদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে তারা বাইরে বের হতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় তাদের না কেয়ে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তাই তারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।
এছাড়া টেকনাফে আগেই আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় নূর মোহাম্মদ জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মাইকিং করে রোহিঙ্গাদের বলছে, ঘরবাড়ি খালি করে তোমরা বাংলাদেশে চলে যাও।
জানা গেছে, বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সর্বদক্ষিণ প্রান্ত টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহ-খানেক আগে অনুপ্রবেশ কিছুটা কমলেও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো বেড়েছে। এই এক সপ্তাহে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ তথ্য বিবিসিকে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।
আর এখন নৌকাগুলো আসছে বার্মা থেকেই।
কুতুপালং মেকশিফট সেটলমেন্ট ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির সেক্রেটারি নূর মোহাম্মদ বলেন, “মিয়ানমারের সরকার মাঝখানে দু-চার-পাঁচ দিন তাদেরকে বিভিন্ন কথায় ভুলিয়ে রেখেছিল। মানুষ এপারে আসার জন্য রওনা দিলে তাদের বাড়িঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এটা তারা করেছে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে। এটা এক ধরণের প্রতারণা। দু’চারদিন পর এখন আবার তারা নির্যাতন শুরু করে দিয়েছে।
Posted ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.