বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে বৃন্দারানীর দিঘীর মাছ চুরি হয়েছে। শুক্রবার ভোরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহলদল ৮৭০ কেজি মাছ আটক করে। এ সময় আটক টেম্পু চালকের স্বীকারোক্তিতে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দুজন মেম্বারসহ মৎসীজীবি সমিতির নেতাদের। জব্দ করা মাছ নিলামে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তাকীন বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে প্রগতি মৎসীজীবি সমিতির সভাপতি শিক্ষক আখদ্দছ আলী মাস্টার, আলীনগর মৎস্যজীবি সমিতির কিবরিয়া হোসেন খোকন মেম্বার ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুহেল আহমদ চৌধুরীসহ ৮জনের নাম রয়েছে।
প্রায় ৭ একর জায়গায় বিদ্যমান বৃন্দারানীর দিঘীর লিজ নিয়ে স্থানীয় দুটি মৎস্যজীবি সমিতির বিরোধ আছে। ৬ বছর ধরে তারা মামলা চালিয়ে যাওয়ায় এটির লিজ প্রদান বন্ধ আছে। তবে শুক্রবার বিজিবির টহলদল মাছ চুরির ঘটনা ধরার পর জানা গেছে ভিন্ন তথ্য। লিজ নিয়ে বিরোধ থাকলেও মাছ চুরিতে জোটবদ্ধ তারা। ৮৭০ কেজি মাছসহ আটক করা হয় অটোটেম্পুর চালক সুমনকে। তার মাধ্যমেই জানা গেছে অনেক তথ্য। পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সোহেল আহমদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বিজিবি ক্যাম্পে নিলে তিনি জানান সংশ্লিষ্ট অন্যদের পরিচয়। ইউপি চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খানের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
শনিবার সকালে আটক মাছগুলো ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। বিজিবি ক্যাম্পে মাছ নিলামের সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাইম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদসহ পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
আলীনগর মৎস্যজীবী সমিতির অভিযুক্ত নেতা কিবরিয়া হোসেন খোকন জানান,তিনি মাছ চুরির সাথে জড়িত নন। আটক মাছগুলো নিলামে ক্রয় করেছেন। অন্যদিকে প্রগতি মৎস্যজীবী সমিতির আখদ্দস মাস্টার বলেন,’ঘটনার কিছুই জানি না। মাছ চুরিতে আ্মি জড়িত নই।’
কুলাউড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আটক ৮৭০ কেজি মাছ নিলামে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Posted ৪:৫৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.